নিজস্ব প্রতিবেদন : আনন্দপুর হত্যাকাণ্ডে নয়া ক্লু পুলিসের হাতে। পুলিস জানতে পেরেছে,  অ্যাটলান্টিক হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে অ্যাপ ক্যাবের চালকের পূর্ব পরিচয় ছিল। আর সেই পরিচয়ের সুবাদেই অর্চনা ও বলরামের দেহ লোপাটের উদ্দেশে ওই অ্যাপ ক্যাবের চালককে ডেকে এনেছিলেন হোটেল মালিক। অ্যাপ ক্যাবে দেহ পাচারের তথ্য পেতেই এবার চালকের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। পাশাপাশি পুলিস আরও জানতে পেরেছে, ১৯ সেপ্টেম্বর হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন অর্চনা-বলরাম।  কোন রেস্তোরাঁ? তার খোঁজে আশেপাশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, বলরামের কললিস্টের সূত্রে ধরে ঝাড়খণ্ড থেকে ধর্মতলার হোটেলকর্মী আশিস যাদবকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাতেই অর্চনা পালংদারকে খুনের কথা জানতে পারে পুলিস। পুলিসকে আশিস জানায়, মৃত্যুর আগে প্রেমিক বলরামের সঙ্গে তাঁদের হোটেলে উঠেছিল অর্চনা। যুগলের মধ্যে বচসা হয়। তারপরই প্রেমিকা অর্চনাকে খুন করে বলরাম। আর অর্চনাকে খুনের পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিক বলরাম। হোটেল কর্তৃপক্ষ একথা জানতে পারার পরই জোড়া দেহ লোপাটের সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসমতো দেহ সরিয়ে ফেলে সে।


আশিসের কাছ থেকে একথা জানার পরই বলরামের দেহের উদ্দেশে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। শনিবার বিকেলে আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনের অদূরে নোনাডাঙা থেকে উদ্ধার হয় আরও একটি বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ। একই প্রিন্টের কম্বল ও নাইলন দড়ি দিয়ে একইরকমভাবে একই কায়দায় বাঁধা ছিল বস্তাটি। কিন্তু ধৃত আশিস যাদব সত্যি কথা বলছে কি না তা জানতে প্রয়োজন ছিল বলরামের দেহের শনাক্তকরণ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রবিবার বালা ও আঙটি দেখে বলরামের দেহ শনাক্ত করে পরিবার। শনাক্তকরণের পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টও পুলিসের হাতে এসে পৌঁছয়। ময়নাতদন্তের সেই রিপোর্টেই বলরামের পাকস্থলীতে বিষের নমুনা মিলেছে।


আরও পড়ুন, শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ধুন্ধুমার স্কুলে, 'পুলিসের মারে' ফাটল মাথা


প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে মিলে গেছে ধৃত আশিসের বয়ান। তবে এই খুনের ঘটনায় আরও নিশ্চিত হতে চায় পুলিস। আর তাই ধৃত হোটেলকর্মী আশিস যাদব ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হোটেল মালিক শাম্মি কাপুরকে। তদন্তে নেমেই পুলিস জানতে পারে জোড়া দেহ লোপাট করতে আশিসকে সাহায্য করেন আরও দুই কর্মী হরিহর মাহাতো ও যদু প্রসাদ। দেহ লোপাট করতে ডাকা হয় অ্যাপ ক্যাবও। তবে, দুই রহস্যমৃত্যুর পিছনে তৃতীয় কেউ আছে কি না? সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিস।