ওয়েব ডেস্ক: আটকে দেওয়া হয়েছে অনেক ট্রাক। ক্ষতির আশঙ্কায় বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি। শনিবার সকাল থেকে এমনটাই ছন্নছাড়া দশা কলকাতা বিমান বন্দরের কার্গো পরিষেবার। বহু পণ্যই এসে পৌছয়নি। রীতিমতো দুশ্চিন্তায় কার্গো হ্যান্ডলাররা। বিধাননগর কমিশনারেটের যান নিয়ন্ত্রণ বিধির জেরেই এমন হাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২২ অগাস্ট নিউটাউনের আকাঙ্খা এলাকায় লরির সঙ্গে একটি স্কুলবাসের ধাক্কায় বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া জখম হয়। তারপরেই দুর্ঘটনা এড়াতে যান নিয়ন্ত্রণের নয়া নিয়ম জারি করে বিধাননগর কমিশনারেট। নির্দেশিকায় বলা হয়, বিধানগর কমিশনারেট এলাকায় সকাল সাতটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত মালবাহী যান চলাচল করতে পারবে না। আর পুলিসের এই নয়া বিধিতেই আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ দেখছে পণ্য পরিবহণ সংস্থাগুলি।


উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলিতে পণ্য পরিবহণের গেট ওয়ে এই কলকাতা বিমান বন্দরই। দু বছর আগেও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ৫টি আর লুফত্হানসা ২টি এক্সক্লুসিভ কার্গো বিমান চালাতো। এখন কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দিনে মাত্র দুটি এক্সক্লুসিভ কার্গো বিমান চলে। বাকি পণ্য যাত্রীবাহী বিমানে আনা-নেওয়া করা হয়।


কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দৈনিক সাড়ে ৩০০টন পণ্য পরিবহণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫০টন পরিবহণ হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এই পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাছ-সবজির মতো পচনশীল জিনিস। কলকাতা বিমান বন্দর থেকে বেশিরভাগ আর্ন্তর্জাতিক বিমানই দিনের বেলা ছাড়ে। পচনশীল জিনিস উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আনতে হয়। নয়া নির্দেশিকায় যা সম্ভব নয়। শুধু বিমান সংস্থার লাভ-ক্ষতিই নয়। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে রাজস্বতেও নতুন এই সিদ্ধান্তের জেরে বিমান সংস্থাগুলি বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে।


অক্টোবরে কলকাতা থেকে গোরক্ষপুর, আইজল আর শিলচরে বিমান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে স্পাইস জেট। নতুন নীতিতে তাদের কার্গো পরিবহণে ক্ষতি হবে।  বিবৃতিতে জানিয়েছে স্পাইস জেট। কোনও বিমান বন্দরের লাভ-ক্ষতির অঙ্কটা ঠিক হয় পণ্য পরিবহণ দিয়েই। ফলে কার্গো পরিবহণ সংস্থাগুলি কমিশনারেটকে বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার আর্জি জানানোর কথা ভাবছে।