নিজস্ব প্রতিবেদন:  নিউটাউন কাণ্ডের ঘটনায় মোটিভ খুঁজছে পুলিস। কেন খুন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। তদন্তে জানা গেছে জমি জরিপের কাজের অছিলাতেই খুনের রেইকি সারে দুষ্কৃতীরা। নিউটাউনে প্রোমোটার খুনে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন চঞ্চল মণ্ডল। ১৭ টি প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। শনিবারই জমি জরিপের কাজের বরাত দিতে এসেছিল দুই যুবক। একজন নিজেকে রফিকুল বলে পরিচয় দেয়। মুর্শিদাবাদের একটি জমি জরিপের কাজ দেয় তারা। চঞ্চলের ভাই দেবু মণ্ডল জানিয়ে ছিলেন জরিপের কাজ শেষ। কাজের জন্য পাঁচশো টাকা  দাবি করা হয়।


আরও পড়ুন: কেন পরিকল্পনা করে কলকাতায় এসে আত্মঘাতী হলেন হর্ষ? মোবাইলেই লুকিয়ে সূত্র


 চঞ্চলের পরিবার জানিয়েছে, রবিবার সন্ধেয় বাইকে তিনজন আসে। রফিকুল বলে যে নিজের পরিচয় দিয়েছিল সেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। তবে পাঁচটি গুলির মধ্যে তিনটি লাগে চঞ্চল মণ্ডলের গায়ে। দুটি লেগেছিল বাড়ির দেওয়ালে। সেসময় এলাকায় ফাটছিল বাজি। বাজানো হচ্ছিল সাউন্ড বক্স। সেই শব্দে চাপা পড়ে যায় গুলির আওয়াজ।


আরও পড়ুন:  ছাদে মেয়েকে নিয়ে বাজি ফাটাচ্ছিলেন আইনজীবী, স্ত্রীকে ডাকতে এসে বেডরুমে যে অবস্থায় দেখলেন...


চঞ্চলের ভাই দেবকুমার মণ্ডল বলেন, “ঘরে ঢুকে দাদাকে দুটো গুলি করে ওরা। দুটো গুলি লাগে মুখে। এরপরই তারা বাইকে চড়ে পালিয়ে যায়।” তদন্তকারীদের মতে, আততায়ীরা পেশাদার। তা না হলে পরিবারের এত সদস্যের মাঝে দাঁড়িয়েও গুলি চালাতে হাত কাপেনি তাদের। পেশাদার খুনি ছাড়া এমনটা হয় না। আততায়ীরা মুখে কাপড় বেঁধে আসেনি। তাতে মনে করা হচ্ছে, আততায়ীদের চিনতে পেরে যাওয়ার ভয়ও ছিল না। তারা বাইরে থেকে এসেছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদেই এই খুনের কোনও সূত্র লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।