নিজস্ব প্রতিবেদন : নিউটাউনে জমি জরিপকারী খুনের ঘটনায় ব্রেক থ্রু পুলিসের। গ্রেফতার হল খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড অজিতেশ। নিউটাউন শুটআউটের ঘটনায় এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হল। জমি বিক্রির মুনাফা নিয়ে অশান্তির জেরেই চঞ্চল মণ্ডলকে খুন করা হয় বলে জেরায় কবুল করেছে ধৃতরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতভর নিউটাউন ও তার আশেপাশের এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে ৭ জনকে আটক করে পুলিস। উদ্ধার হয় বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে, খুনের ছক কষা হয়েছিল ৮ মাস ধরে। নিয়োগ করা হয়েছিল ৩ জন সুপারি কিলার। রফা হয়েছিল ২ লাখ টাকায়। খুনের ৪ দিন আগে থেকে সুপারি কিলাররা নিউটাউনে ডেরা বাঁধে। পুলিস নিশ্চিত হয়, খুনের নেপথ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক কারণ। কারণ যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই মৃত চঞ্চল মণ্ডলের ব্যবসায়িক পার্টনার। মুনাফা নিয়ে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরেই খুন বলে তখনই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিস।


রবিবার  সন্ধায় নিউটাউনের পাথরঘাটা মালোপাড়ায় বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হন চঞ্চল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।  গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। নিহতের বাড়ির লোকেরা জানান, বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন চঞ্চল মণ্ডল। ১৭টি প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। শনিবারই জমি জরিপের কাজের বরাত দিতে এসেছিল দুই যুবক। একজন নিজেকে রফিকুল বলে পরিচয় দেয়। মুর্শিদাবাদের একটি জমি জরিপের কাজ দেয় তারা। কাজের জন্য ৫০০ টাকা  দাবি করেছিল চঞ্চল। এরপরই রবিবার সন্ধেয় বাইকে তিনজন আসে। রফিকুল বলে যে নিজের পরিচয় দিয়েছিল সে-ই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। তিনটি গুলি লাগে চঞ্চল মণ্ডলের গায়ে।


আরও পড়ুন, ভিডিও গেম খেলছিল কিশোর, রান্নার পরই গরম মাংস খেতে দেয় মা, পরিণতি... মর্মান্তিক


জমি জরিপ সংক্রান্ত সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। আটক করা হয় ৭ জনকে। তাদেরকে জেরা করেই তদন্তের জাল গুটিয়ে আনে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, মৃত চঞ্চল মণ্ডলের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অজিতেশ হালদার এবং বিজেশের। তিনজন একই জায়গায় কাজ করত। জমি জরিপের পাশাপাশি জমি কেনাবেচায় মধ্যস্থতাকারীর কাজও করতেন চঞ্চল। সম্প্রতি পাথরঘাটার বাসিন্দা অজিতেশ হালদার এবং বিজেশের দুটি জমি খুব কম দামে বিক্রি করে দিয়েছিল চঞ্চল। সেই থেকে তার ওপর রাগ ছিল দুজনের।


এরপর ঘটকপুকুরের এক আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অজিতেশ। সেই আমিনই মহম্মদ নামে  স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় অজিতেশের। এরপর মহম্মদ মারফত্‍ জীবনতলার তিন সুপারি কিলারের সঙ্গে পরিচয় হয় অজিতেশের। তারা রাজারহাট এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করত। রফা হয় দুলক্ষ টাকায়। সেইমত কিছু টাকা অগ্রিমও দেয় অজিতেশ। ঘটকপুকুরের আমিনই এরপর মুর্শিদাবাদের একটি জমি জরিপের নাম করে চঞ্চল মণ্ডলের বাড়ি নিয়ে যায় তিন সুপারি কিলারকে। ঘটনার চারদিন আগে এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে, চঞ্চলের গতিবিধির ওপর নজর রাখত সুপারি কিলাররা। তারপর পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তিন ভাড়াটে খুনি।