ওয়েব ডেস্ক: হাসিনা সরকারকে উত্খাত করে এরাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠন করতে চাইছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন। আর সেকাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল এরাজ্যের যুবকদেরই। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের চার্জশিটে উঠে এসেছে এমনই  তথ্য। এনআইএ-র দাবি, সশস্ত্র যুব সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এরাজ্যের একাধিক জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল JMB।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ অক্টোবর, ২০১৪


অষ্টমীর দুপুরে বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড়।  প্রকাশ্যে আসে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল- মুজাহিদিনের সন্ত্রাস জাল। জেলা পুলিস, সিআইডি হয়ে তদন্তভার  হাতে যায় NIA-র। ছমাসের মাথায় খাগড়াগড়কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে ২১জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে ৪জন বাংলাদেশি। জেএমবি- জঙ্গি নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে  চার্জশিটে।



খাগড়াগড়ের নেপথ্যে---


ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতা চালানোই ছিল জেএমবির উদ্দেশ্য


হাসিনা সরকারকে উত্খাত করে বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ে শরিয়ত আইন প্রণয়নের  ছক কষা হচ্ছিল



সংগঠনের সশস্ত্র যুব বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল জেএমবির


সেইলক্ষ্যে এরাজ্য থেকে যুবকদের জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রশিক্ষণ দেওয়া হত


জেএমবির মূল ঘাঁটি ছিল নদিয়া,বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও সাহেবগঞ্জে


জেএমবির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের যোগ পাওয়া গেছে



তদন্তে নেমে মোট আঠারোজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যার মধ্যে চার্জশিটে ১৩জনের নাম রয়েছে। বাকি পাঁচজনের মধ্যে হাসেম মোল্লা ও মহঃ খালিদকে চার্জশিট থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।  অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে অসমের শাহনুর আলম ও সইফুল ইসলাম খানের।