নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্ভবত চলন্ত গাড়িতেই গুলি করা হয় দেবাঞ্জনকে। প্রথম গুলি লাগে ডান হাতে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেওয়াল ঘষটে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা দেয় তাঁর গাড়ি। কিন্তু ততক্ষণে কানের নীচে ঢুকে গিয়েছে বুলেট। ঠিক কী হয়েছিল নবমীর রাতে? সরেজমিনে দেখল জি ২৪ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবমী অর্থাত ৭ অক্টোবর রাতের ঘটনা। আর ১৯ অক্টোবর ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেনসিক দল। পাঁচিল ঘষে গিয়ে সামনের ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে গাড়ি। সেটা খুঁটিয়ে দেখলেন বিশেষজ্ঞরা। পুলিস বলছে, রাত দেড়টার পর খুন হয়েছেন দেবাঞ্জন। বান্ধবীকে বাড়িতে নামানোর পর ঠিক কী কী হয়েছিল, মোবাইলের কল তালিকা দেখে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নিচ্ছে পুলিস। আর তাতেই জানা যাচ্ছে, নবমীর রাতে দেবাঞ্জনের গাড়িতে পিছনের সিটে বসে থাকা কেউ চালিয়েছিল গুলি। প্রথমটি লাগে ডান হাতে। বুঝেও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি দেবাঞ্জন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কানের নীচে ফুঁড়ে ঢুকে পড়ে আরেকটা বুলেট।


জি ২৪ ঘণ্টার খবরে দেবাঞ্জন খুনের তদন্তে তত্পরতা শুরু করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছিল অন্য অভিযুক্ত বিশাল মারুকে।বিশালের বিরুদ্ধে খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা এবং বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা করেছে পুলিস। আপাতত ১১ দিনের পুলিস হেফাজতে বিশাল মারু। ৭ অক্টোবর রাতে পানশালায় উদ্দাম পার্টিতে দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী ছাড়াও ছিল আরও ১৫ জন বন্ধু।



শনিবার বজবজে ধরা পড়ল প্রিন্স সিং। সিম বদলেও পুলিসের নজর এড়াতে পারল না মূল অভিযুক্ত। বেপাত্তা হওয়ার পর দাড়ি-গোঁফ কেটে চুলের কাট বদলে নিয়েছিল প্রিন্স। চশমা পরাও ছেড়েছিল সে। কিন্তু পুলিস তার আত্মীয়দের উপরে নজর রাখছিল। বজবজে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়  এফআইআরে আগেই বিশাল মারুর নাম ছিল। শুক্রবার তাকে আটকের পর থেকেই শুরু হয় লাগাতার জেরা। তারপর গ্রেফতার করা হয়। 


নবমীর দুপুরে বিশালের স্কুটি ছিল প্রিন্সের বাড়িতে। ওই স্কুটিতেই ওই রাতে চম্পট দেয় প্রিন্স। রাত দেড়টার পর খুন হন দেবাঞ্জন। সেক্ষেত্রে প্রিন্স নিজে খুন করেছেন, নাকি কাউকে দিয়ে খুন করিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। নবমীর দিন সকালে বান্ধবী ও অন্য বন্ধুদের নিয়ে একটি পাঁচতারা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজন করেন দেবাঞ্জন। বিল হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। পার্টি থেকে বান্ধবীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই বেজে ওঠে দেবাঞ্জনের মোবাইল। গ্রুপের এক বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ডকে মারার জন্য দেবাঞ্জনকে ডাকে এক বন্ধু। দেবাঞ্জনের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিস জানিয়েছে। তরুণীর দাবি, এই ফোন পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দেন দেবাঞ্জন। কিন্তু তারপর কী হয়েছিল? দেবাঞ্জন কোথায় গিয়েছিলেন? বলতে পারেননি ওই তরুণী। কোন নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, কে ফোন করেছিল, কেনই বা বন্ধুর বয়ফ্রেন্ডকে মারার কথা বলেছিল, তা জানতে দেবাঞ্জন এবং তাঁর বান্ধবীর কল ডিটেলস খতিয়ে দেখছে পুলিস। 


আরও পড়ুন- অভিজিৎকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য না করে বৃহত্তর লক্ষ্যে মন দিন, বললেন বিজেপি নেতা