নিজস্ব প্রতিবেদন : গুজবে কান দেবেন না। এখনই কোনও ঘূর্ণিঝড় আসছে না। আর ঘূর্ণিঝড় কবে আসবে, তা আগাম বলাও যায় না। স্পষ্ট জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আমফানের ধ্বংসলীলার ছাপ এখনও চারদিকে ছড়িয়ে। ধুঁকছে জনজীবন। বিপর্যস্ত মানুষগুলো মাথা তুলে উঠে দাঁড়ানোর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এমন সময়ই হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে, ফের ঘূর্ণিঝড় 'নিসর্গ' আসছে। আর সেটা নাকি আমফানের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। হাজার হাজার শেয়ার, লাইকস, কমেন্টস। আমফানের তাণ্ডবের স্মৃতি এখনও স্মৃতিতে শুধু টাটকা বললে ভুল হবে, বলা ভালো দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে। তারপর আবার 'ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ আসছে' এই খবরে আতঙ্ক ছড়ায়। 


সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার আসরে নামল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের স্পষ্ট বক্তব্য, এর পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যে। বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্য। কী তাও স্পষ্ট করেছে হাওয়া অফিস। আসল খবর হল, ঘূর্ণিঝড়ের নামের একটা আগাম তালিকা থাকে। আমফান ছিল আগের তালিকার শেষ নাম। এরপর নতুন তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। যার প্রথম নাম বাংলাদেশের দেওয়া, 'নিসর্গ' । বঙ্গোপসাগরে বা আরব সাগরে এরপর কোনও ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে 'নিসর্গ'। 


উল্লেখ্য, উপমহাদেশে ঝড়গুলোর নামকরণ করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, মলদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এরসঙ্গে ২০১৮ সালে যুক্ত হয়েছে আরও ৫টি দেশ- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ আসন্ন ঘূর্ণিঝড়গুলোর জন্য ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে। আমফানের পরের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম ঠিক হয়েছে 'নিসর্গ', 'গতি', 'নিভার'। এখন ঘূর্ণিঝড়ের জন্মের আগেই নাম ঠিক করে রাখা এবং সেটিকে সবার আয়ত্তের মধ্যে আবহাওয়া দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাতেই কি যত বিপত্তি? উঠছে প্রশ্ন।


ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় জন্ম না নেওয়া পর্যন্ত তার নাম জনসমক্ষে আনা হবে কি হবে না, সে নিয়ে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মানুষকে অযথা আতঙ্কিত বা বিপর্যস্ত করাটা কি আইনত দণ্ডনীয় নয়? এ প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন। যদিও নিসর্গ নিয়ে যে গুজব বা ভুল খবর রটেছে, তার জন্য কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়নি আবহাওয়া দফতর। বরং গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তারা মানুষকে সচেতন করতে চান। 


আরও পড়ুন, আমফান বিধ্বস্তদের বিজেপির ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, জখম ১১