চাঁদনি চকের বারে কর্মীর মৃত্যু হয়েছে গলায় খাবার আটকে, উঠে এল ময়নাতদন্তে
বিকেলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে জানা যায়, গলায় খাবার আটকে মৃত্যু হয়েছে দেবাশিসের। তাঁর পেটে প্রায় ১০০ মিলিলিটার মদ পাওয়া গিয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্য কলকাতার চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশন লাগোয়া বারে কর্মীর মৃত্যুতে কোনও রহস্য নেই। পোস্ট মর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্টে অন্তত এমনটাই উঠে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে মেলেনি কোনও গাফিলতির চিহ্ন।
মঙ্গলবার রাতে চাঁদনি চকের ওই বারে মৃত্যু হয় বার টেন্ডার দেবাশিস দাসের। পরিবারের অভিযোগ, গভীর রাতে দেবাশিসের ৩ সহকর্মী ট্যাক্সি করে দেহ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েই পালানোর চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। এর পরই দেবাশিসের মৃত্যুর জন্য বার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিসে অভিযোগ করেন তাঁরা। দেবাশিসের বাড়ি বরানগর এলাকায়। তাই একযোগে ঘটনার তদন্ত শুরু করে বরানগর ও বউবাজার থানার পুলিস। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠায় বরানগর থানা।
বিকেলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে জানা যায়, গলায় খাবার আটকে মৃত্যু হয়েছে দেবাশিসের। তাঁর পেটে প্রায় ১০০ মিলিলিটার মদ পাওয়া গিয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক।
দেবশ্রী যোগ দিলে আমি নেই, শেষ মুহূর্তে শোভনের যোগদান নিয়ে তুমুল নাটক বিজেপি সদর দফতরে
ওদিকে বউবাজার থানার পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮.০১ মিনিটে বারের শৌচাগারে ঢুকতে দেখা যায় দেবাশিসকে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ শৌচাগার থেকে বেরোননি তিনি। এর পর বারে মদ্যপান করতে আসা এক ব্যক্তি শৌচাগারে ঢোকেন। চিৎকার করেত করতে শৌচাগার থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে। এর পরই বারের অন্যান্য কর্মীরা শৌচাগারে ঢুকে দেবাশিসকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান।