নিজস্ব প্রতিবেদন : অপচয় বন্ধ করতে হবে। একজন মন্ত্রী একটি গাড়ি-ই ব্যবহার করতে পারবেন। একাধিক গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। বাজে খরচ কমিয়ে যা বাঁচবে, তা মানুষের জন্যই ব্যয় করবে সরকার। মন্ত্রী-আমলাদের স্পষ্ট এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে সরকারি অফিসারদের দুপুরের খাওয়ার মেনুতেও দেখা গেল ব্যয়সংকোচের ছাপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডিএ দিতে, ধার শোধ করতেই টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে জনগণের উন্নয়নের স্বার্থেই ব্যয়সংকোচের পথে যেতে হবে। এদিন একথা স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কোষাগারের ওপর চাপ কমানোর জন্য মন্ত্রী ও দফতরের অফিসাররা কীভাবে খরচ কমাতে পারেন, সেজন্য এদিন একাধিক নির্দেশাবলী জারি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশাবলী-
- বেসরকারি হোটেলের বদলে সরকারি হল বা স্টেডিয়ামে করতে হবে বৈঠক।
- সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে সাদামাটা।
- অফিস রুম, গেস্ট হাউস সাজানোর খরচ কমাতে হবে।
- সরকারি অনুষ্ঠানে উপহার ও খাওয়ার খরচ কমানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
- সব অতিথিকে ফুলের তোড়া দেওয়ার প্রথাতেও পড়ছে দাঁড়ি।
- রাজ্য ও জেলা সদরে বৈঠকে গাড়ির খরচ কমাতে ভিডিও কনফারেন্সিং।
- নতুন গাড়ি কেনা ও গাড়ি ব্যবহারের খরচেও লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
- এসি বসানো ও ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।
- সরকারি অফিসারদের বিদেশ সফরেও জারি হচ্ছে বিধি-নিষেধ।
- অফিসারদের বিমানের ইকনমি ক্লাসে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, লোকসভা ভোটের আগে কড়া কমিশন, বেনজির সিদ্ধান্ত


নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এদিনের বৈঠকেও ছিল ব্যয়সংকোচের ছাপ। আগের চল থেকে সরে এসে দুপুরের খাওয়ার মেনু থেকে বাদ পড়ে ইলিশ, চিংড়ি, মাটন, ফিশ ফ্রাই, কাবাব সবই। লাঞ্চে এদিন পোনা মাছ ছাড়া আর কোনও আমিষ পদ ছিল না। শুক্তো, পনির, ডাল, আলুভাজা, আলু-পটল, চাটনি, পাঁপড়, দই, রসগোল্লার ব্যুফেতেই প্রায় ৪৭৫ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়।