নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা পুরসভার প্রশাসক গোষ্ঠী নিয়োগ মামলায় স্বস্তি মিলল রাজ্য সরকারের। পুরসভায় প্রশাসক কেন? এই অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলা-ই খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শরদ সিং এবং বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলা দুটি খারিজ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে মেয়াদ ফুরিয়েছে কলকাতা পুরসভার। কিন্তু করোনার কারণে মার্চ মাস থেকেই লকডাউন চলছে। লকডাউনের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছে পুরভোট। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এখন রাজ্যের অন্যান্য পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করার আইন থাকলেও, কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে তা ছিল না। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভাতেও প্রশাসক বোর্ড নিযুক্ত করে রাজ্য সরকার। যার মাথায় রাখা হয় ফিরহাদ হাকিমকে। 


এখন অর্ডিন্যান্স না এনে কীভাবে শুধুমাত্র একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকার প্রশাসক বসাতে পারে? সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা হয়। একইসঙ্গে একজন মন্ত্রী কীভাবে এই পদে বসতে পারেন? সেই প্রশ্নও ওঠে। বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। প্রশাসক বোর্ড নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রথমে এই বোর্ডকে এক মাসের কেয়ারটেকার বোর্ড বলে ঘোষণা করে আদালত। পরে আবার সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি শুনে বোর্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়।


সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার ডিভিশন বেঞ্চে যান মামলাকারী। এরপর সুপ্রিম কোর্টেও যান তাঁরা। কিন্তু শীর্ষ আদালত দ্রুত শুনানির জন্য ফের মামলাটি হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। এরপরই এদিন ডিভিশন বেঞ্চ ২টি মামলা খারিজ করে জানায় যে, অতিমারী পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই অর্ডিন্যান্স আনার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন করারও পরামর্শ দিয়েছে।


আরও পড়ুন, বাজারে ইলিশের দেখা নেই কেন? রুপোলি শস্যের আকালের পিছনে রয়েছে ২টি কারণ