হারাল হারাধনের এই ছেলেও, মুছল নস্ট্যালজিয়ার আরেক নাম `মিত্রা`
ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্সের রমরমায় একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু সিঙ্গল স্ক্রিনই। সেই তালিকাতেই জায়গা হল মিত্রার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও অপেক্ষার ল্যান্ডমার্ক, কখনও আবার উত্তর কলকাতার নস্ট্যালজিয়ার আরেক নাম, পকেট বাঁচাতে জেনওয়াই-এরও অন্যতম ঠিকানা ছিল হাতিবাগান চত্বরের 'মিত্রা'। কানাঘুষো চলছিল বেশ কয়েকমাস ধরেই। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বন্ধ হয়ে গেল সিঙ্গল স্ক্রিনের 'মিত্রা' প্রেক্ষাগৃহ। ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্সের রমরমায় একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু সিঙ্গল স্ক্রিনই। সেই তালিকাতেই জায়গা হল মিত্রার।
আরও পড়ুন: ৫ এপ্রিল ফের মুক্তি পাচ্ছে ভবিষ্যতের ভূত
প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধাররা জানাচ্ছেন, মাল্টিপ্লেক্সের রমরমার সঙ্গে জুঝতে পারছে না সিঙ্গল স্ক্রিন, কমছে চাহিদা। ব্যয়ভার টানতে না পেরেই ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে মেট্রো, এলিট, মালঞ্চ, রূপবানীর মতো একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন ৷ জানা গিয়েছে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ধর্মতলার বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ। যে কোনওদিন বন্ধ হতে পারে বাকি সিঙ্গল স্ক্রিনগুলিও। তাঁরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে সামলে নিলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই শেষ পরিনতি ভরাডুবি।
মিত্রা সিনেমা হলটির পথ চলা শুরু ১৯৬৩ সালে। বর্তমান মালিকানা ছিল দীপেন্দ্র মিত্রের নামে। একে একে সিনেজগতের বহু পরিবর্তনের সাক্ষী এই প্রেক্ষাগৃহ। আপাতত স্মৃতিচারণের সেপিয়া টোনেই বেঁচে থাকবে 'মিত্রা', এমনটাই জানাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। উল্লেখ্য, এই চত্বরে মিত্রার ঠিক পাশেই রয়েছে দর্পনা, উল্টোদিকে মিনার, কিছুটা এগোলেই টকি শো হাউজ, স্টার থিয়েটার। তবে হারাধনের এই শেষ ছেলেরা আর কতদিন আধুনিকতার ভার বহনে সক্ষম হবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।