নিজস্ব প্রতিবেদন : নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটে ত্রুটি রয়েছে। আর তাই ভুল ফল আসছে। টুইট করে এই অভিযোগ জানায় স্বাস্থ্য দফতর। Zee ২৪ ঘণ্টার কাছে সেই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন নাইসেড কর্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে  নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্তকে সরকারের টুইটগুলি পাঠানো হয়েছিল। সেই টুইটের জবাবে নাইসেড অধিকর্তা লিখিতভাবে জানান, "সমস্যাটি আইসিএমআর গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তারা এটা জানে। ইউএস থেকে স্ট্যান্ডার্ড কিটের সরঞ্জাম আসত পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি অর্থাৎ এনআইভি-তে। এনআইভি সেই কিটগুলোকে অ্যাসেম্বল করত বিভিন্ন রিএজেন্ট ও কন্ট্রোলের মাধ্যমে। তারপর বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে কিটগুলি সরাসরি তারা সরবরাহ করত। এখন দেশে প্রচুর পরিমাণ কিট দরকার।  ফলে এনআইভি সেই কাজ করে উঠতে পারছে না। কার্যত সেটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আইসিএমআর রেডিমেড কিট সংগ্রহ করছে। তারপর তা দেশের ২৬টি  সেন্টারে বা ডিপোতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এই কিটগুলি সঠিক  রেজাল্ট দিচ্ছে না। তা আইসিএমআর ইতিমধ্যেই সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে। কিটগুলি ডিফারেন্ট এবং ইনকনক্লুসিভ রেজাল্ট দিচ্ছে। কিটগুলিকে পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত করতে বিশেষ দক্ষতা দরকার। পরীক্ষার উপযুক্ত করে তুলতে বেশ কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। সেটা নাইসেড  করতে পারে। মেডিক্যাল কলেজগুলির ল্যাবরেটরিগুলির পক্ষে তা একটু কঠিন। তাদের সেই ব্যাপারটা নেই।"


একদিকে দেশে যখন Covid-19-এর সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেইসময় এই তথ্য যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর ও নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। বেশ কিছু কিটে ত্রুটি, পরীক্ষার ফল সঠিক আসছে না! তাহলে দেশে বা রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সঠিক ছবিটা কী? স্বাভাবিকভাবেই এবার সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ১০,০০০ Random Testing Kit এসে পৌঁছেছে। ওইসব কিট দিয়ে সোমবার থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। রাজ্যের হটস্পট এলাকা, ক্লাস্টার এলাকায় ওই কিট দিয়ে পরীক্ষা চালাবে রাজ্য সরকার। র‌্যাপিড কিট দিয়ে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।


যাঁরা আক্রান্ত তাদের পরিবারের সবার টেস্ট হবে। এছাড়াও ওইসব এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা হবে টেস্ট। এই র‌্যাপিড টেস্টে কী হবে? মূলত এই র‌্যাপিড টেস্টে করোনা ধরা পড়ে না। কিন্তু রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। দেহে কোনও ভাইরাসের আক্রমণ হলে দেহের মধ্যে নিজে থেকেই একটি ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এখন সেই ধরনের কোনও অ্যান্টিবডি পাওয়া গেলে বুঝতে হবে কোনও ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ রয়েছে। তখন ওই রোগীকে আলাদা করা হবে অন্যদের থেকে। করোনার সংক্রমণ রুখতে এভাবেই প্রাথমিক বাছাই করা হবে।


আরও পড়ুন, রেশনে কম চাল, ব্যাপক দুর্নীতি, সবংয়ে সমবায় সমিতির লাইসেন্স বাতিল করল খাদ্য দফতর