নিজস্ব প্রতিবেদন:  এ বার নিজের বাড়িতেই করতে পারবেন মাছ চাষ। ছাদে বা উঠানে। চাই কি, ছুটির দিনে ছিপও ফেলতে পারেন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহর কলকাতায় মাছের যা চাহিদা, তার এক শতাংশের চাষও এই শহরে হয় না। সবটাই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। কোনও কারণে সেই আমদানির পথ বন্ধ হলে কী অবস্থা দাঁড়াতে পারে, লকডাউনের সময়ে সেটি বোঝা গিয়েছে।


কী ভাবে এ থেকে একটা রাস্তা বের করা যায়, সেটা নিয়ে নানান স্তরে চিন্তা ভাবনা চলছিল। মৎস্যবিজ্ঞানীরা ঘরোয়া ভাবে মাছচাষের একটি পদ্ধতি বের করেছিলেন। সেটা নিয়েই এখন আরও চর্চা চলছে। বিকল্প এই পদ্ধতিটির নাম 'বায়োফ্লক'। 


আজ সল্টলেকে পঞ্চায়েত দফতরের অফিসের ভেতর এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করা হল। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন, বাড়িতে একটু জায়গা থাকলেই এই পদ্ধতিতে করা যাবে ছোটো মাছের চাষ। সল্টলেকের মৃত্তিকা ভবনে আজ থেকে শুরু হয়ে গেল এই অভিনব পদ্ধতিতে মাছচাষ। এখানে এসে মাছ কিনতেও পাবেন যে কেউ। শহর কলকাতায় নিজের বাড়ি বসেই মাছ চাষের এই ব্যবস্থা অনবদ্য।


বায়োফ্লক কী? এক কথায়, বায়োফ্লক হল ব্যাকটেরিয়া, জীবিত এবং মৃত বস্তুগত জৈবপদার্থ প্রভৃতি অণুজীবের সমষ্টি। এগুলির রূপান্তরের মাধ্যমে মাছকে একটি পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করাই এই পদ্ধতির লক্ষ্য। বায়োফ্লক প্রযুক্তি মূলত বর্জ্য পুষ্টির পুনর্ব্যবহারযোগ্য নীতি। বিশেষ করে নাইট্রোজেন, মাইক্রোবায়াল জৈববস্তুর মাধ্যমে মাছের খাবারের খরচ কমানো এবং মাছের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোও এর উদ্দেশ্য।



এই প্রযুক্তির প্রয়োগে পুকুরের জলকে দূষণের হাত থেকে ঠেকানো যায়। ফলে জলে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বাড়বে না। এতে বিভিন্ন ছোট-বড় মাছ-সহ চিংড়ির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ওষুধ প্রয়োগও করতে হবে না। 


এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার বাড়িতেই মাছ চাষ করতে পারবেন। বাড়ির উঠোনে বা ছাদে একটু বড় জায়গা থাকলেই সেখানে জল ধরে করতে পারবেন মাছ চাষ। কী ভাবে করবেন, তার সমস্ত পরামর্শ পঞ্চায়েত দফতর থেকে দিয়ে দেওয়া হবে আগ্রহী ব্যক্তিকে। 


ব্যবসাভিত্তিক মাছ চাষের প্রধান খরচ মাছের খাবারে আর রোগ প্রতিরোধকারী ওষুধে চলে যায়। সেক্ষেত্রে বায়োফ্লক প্রযুক্তি সাশ্রয়কারী পদ্ধতি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষিরা আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারবেন। 


 


আরও পড়ুন: আনলক-৫-এর ছাড় নিয়ে কি পঞ্চমুখ হতে পারবে দেশবাসী, অপেক্ষা!