নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরএস কুকুর হত্যাকাণ্ডে চার্জ ফ্রেমের শুনানি হল গতকাল। এদিনই ওই ঘটনার এক বছর। ১ বছর পর আজ শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠন হল। পরবর্তী শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারী। গত বছরের ২ অক্টোবর দুই নার্সিং পড়ুয়া সোমা বর্মণ ও মৌটুসি মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কুকুরছানা পিটিয়ে মারার অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজ্য। গ্রেফতার হয় দুই অভিযুক্ত। ওই দুজনকে কয়েক দফায় তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেন। জানানো হয় মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস করতে পারবে না মৌটুসি মণ্ডল ও সোমা বর্মণ নামে ওই ২ ছাত্রী।  কলেজে ঢোকার ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মাস পাঁচেক পর  ২০০০ টাকা রেজিস্টার সিওরিটি ও ২০০০ টাকা লোকাল সিওরিটি দিয়ে জামিন পেয়ে ফের ক্লাসে ফেরে তারা।


এদিন দুপুরে দুজন মেয়ে ২টি বস্তা এনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল চত্বরে। তখন ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি ওই বস্তার ভিতরে কী আছে! তারপর সেই কালো প্যাকেটের বস্তার ভিতর থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ১৬টি কুকুরছানার দেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওই কুকুর ছানাগুলিকে।


এক মহিলা জানান, তাঁরা লক্ষ্য করেন একটি মা কুকুর ওই বস্তা দুটোর পাশে ঠায় বসে আছে। দানা বাঁধে সন্দেহ। একটু এগোতেই তাঁরা দেখতে পান, বস্তার মধ্যে থেকে উঁকি দিচ্ছে কুকুরের মুখ। এরপরই বস্তা খোলার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত জনতা। বস্তা খুলতেই চক্ষু থ হয়ে যায় তাঁদের। বস্তার মধ্যে থেকে একে একে উদ্ধার হয় ১৬টি কুকুরছানার দেহ।