চিকিত্সায় চূড়ান্ত গাফিলতির ছবি এনআরএস হাসপাতালে
দুর্ঘটনায় পাঁজরের হাড় ভেঙে ঢুকে গেছে ফুসফুসে। তবু শুধু ব্যথার ওষুধ দিয়েই দায় সারলেন সরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সির চিকিত্সক। কয়েক ঘণ্টা পর বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল রোগীর। চিকিত্সায় চূড়ান্ত গাফিলতির এই ছবি এনআরএস হাসপাতালের।
ওয়েব ডেস্ক: দুর্ঘটনায় পাঁজরের হাড় ভেঙে ঢুকে গেছে ফুসফুসে। তবু শুধু ব্যথার ওষুধ দিয়েই দায় সারলেন সরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সির চিকিত্সক। কয়েক ঘণ্টা পর বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল রোগীর। চিকিত্সায় চূড়ান্ত গাফিলতির এই ছবি এনআরএস হাসপাতালের।
বুধবার, বিকেল ৪টে নারকেলডাঙা নর্থ রোড ছেলে শুভজিতকে নিয়ে ফেরার পথে অটো উল্টে গুরুতর আহত হন কল্যাণীর বাসিন্দা পূর্ণিমা ঘোষ। আহত হয় ছেলে শুভজিতও। তড়িঘড়ি মা ও ছেলেকে আনা হয় হাসপাতালে। যন্ত্রণায় কাতর পূর্ণিমা তখন শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছেন। অভিযোগ, ইমারজেন্সিতে থাকা চিকিত্সক শুধু ব্যথার ওষুধ আর টিটেনাস দিয়েই দায় সারেন। এমনকি এক্সরেও করানো হয়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পূর্ণিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরীক্ষার পর জানা যায়, আহত পূর্ণিমা ঘোষের ডানদিকের পাঁজরের ১০টি হাড় ভাঙা পাঁজরের একটি হাড় ঢুকে গেছে ফুসফুসে আইসিইউতে রাখা হয় পূর্ণিমাকে পাঠানো হয় ভেন্টিলেশনে
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাতেই মৃত্যু হয় পূর্ণিমা ঘোষের। গোটা ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এনআরএস হাসপাতালের প্রিন্সিপাল। তিনি বলেন, কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। মনে হয়, কোথাও একটা গাফিলতি হয়েছে। ইমারজেন্সিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তার রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। ডেপুটি সুপারকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছ, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীর চিকিত্সায় এত দায়সারা মনোভাব কী করে দেখান ভারপ্রাপ্ত চিকিত্সক? এর জেরে ফের সামনে চলে এল সরকারি হাসপাতালের বেহাল পরিষেবার ছবি। যার পরিণতি অকালেই মা-হারা হল ক্লাস টুয়েলভের এক কিশোর।