নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছেন পূর্ব ভারতে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোয় প্রথমবার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের কারিগর চিকিত্সক প্লাবন মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার কার্ডিওথোরাসিক বিভাগের প্রধান প্লাবন মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য ডাক্তাররা ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন স্বাস্থ্য দফতরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেসরকারি হাসপাতালে একাধিকবার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হয়েছে কলকাতায়। কিন্তু শতাব্দীপ্রাচীন মেডিক্যাল কলেজে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের কৃতিত্ব বিশিষ্ট হৃদ-বিশেষজ্ঞ  প্লাবন মুখোপাধ্যায়ের। শনিবার ইস্তফাপত্রে প্লাবনবাবুরা লিখেছেন,'কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সমস্ত রোগীদের উত্কৃষ্ট চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগীদের  উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবির পক্ষে দৃঢ়তার সঙ্গে রয়েছি। প্রশাসনের তরফে আশাব্যাঞ্জক সাড়া না পেয়ে আমরা, চিকিত্সকরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলাম'। 




প্লাবন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল। তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


এদিন চিকিত্সকদের কাজে যোগদান করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা,'চার দিন আগে এনআরএস হাসপাতালে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে পাঠিয়েছিলাম। তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছি। ক্যানসার, কিডনি সমস্যা, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমনকি শিশুরা চিকিত্সা পাচ্ছে না। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠিয়েছিলাম কলকাতা পুলিস কমিশনারকে। ৫জন গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের জামিন খারিজ করেছে আদালত। জখম ডাক্তারের চিকিত্সার সমস্ত খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। সব ধরনের পদক্ষেপ করেছে সরকার। অতিদ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল করার আবেদন করছি'।


আরও পড়ুন- আজ হল না, শনিবার আবার ডাক মমতার, কালও নবান্নে যাব না, বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের