ওয়েব ডেস্ক: রোগীর মারে জখম দুই নার্স আজও ভেন্টিলেশনে। অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। এক ডেঙ্গি রোগীর হিংস্রতায়, তাঁদের এখন জীবন নিয়ে টানাটানি। মাথায় ষোলোটি সেলাই নিয়ে, তৃতীয় নার্স শিপ্রা মণ্ডলের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। যে রোগীর তাণ্ডবে এত কাণ্ড,সেই সুবীর সাহার অবশ্য এদিনও খোঁজ মেলেনি।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাক্ষাত্‍ মৃত্যুর মুখোমুখি, গড়িয়াহাটের নার্সিংহোমে কর্মরত দুই নার্স মার্গারেট ও ভিক্টোরিয়া। চার মাসের সন্তান ঘরে। সেই মার্গারেট এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভর্তি ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে।  মাথার বাঁদিকে আঘাত লেগেছে তাঁর। স্যালাইন স্ট্যান্ডের আঘাতে খুলির হাড় ভেঙে ভিতরে ঢুকে গেছে। বুকেও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন মার্গারেট। রোগীর সেবা করতে গিয়ে, এখন প্রাণসঙ্কটে পি ভিক্টোরিয়া নামে আরেক নার্সও। মণিপুর থেকে ইতিমধ্যে এসে পৌছেছে তাঁর পরিবার।  


আরও পড়ুন- শহর কলকাতার ঘুম কাড়ছে বিহার


মাথার পিছনে গভীর আঘাত থাকায় বৃহস্পতিবার রাতেই ভিক্টোরিয়ার অস্ত্রোপচার হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শুক্রবার চিকিত্‍সায় কিছুটা হলেও সাড়া দিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। এদিন দুই নার্সেরই এক্স রে, সিটি স্ক্যান হয়। দুজনই এখনও ভেন্টিলেশনে। আপাতত তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাক্তাররা।


ডেঙ্গি রোগীর হিংস্রতার শিকার আরেক নার্স শিপ্রা মণ্ডলও। মাথায় ষোলটি সেলাই পড়েছে তাঁর। গড়িয়াহাটের যে বেসরকারি হাসপাতালে তিনি কাজ করেন, সেখানেই তাঁর চিকিত্সা চলছে।


আরও পড়ুন- শহরে একের পর এক দুষ্কৃতী দৌরাত্মের ছবি


যে রোগীর জন্য এত কাণ্ড, সেই সুবীর সাহাকে ঘিরেও ধন্দ চরমে। এমন ঘটনা ঘটানোর পরও, তিনি কীভাবে হাসপাতাল ছেড়ে অবাধে বেরিয়ে গেলেন, এ প্রশ্নও বড় হয়ে উঠছে। জখম নার্সদের পরিবারের তরফে অবশ্য এখনও পুলিসে অভিযোগ করা হয়নি। আপাতত বাড়ির লোককে সুস্থ করে তোলার চেষ্টাতেই ব্যস্ত তাঁরা।