ওয়েব ডেস্ক: মানবিকতার নজির। জীবন দিয়ে জীবন বাঁচালেন তেলকল মালিক। বাঁশদ্রোণীর সতীন্দ্রপল্লির ঘটনা। তেলকলে তেল কিনতে গিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারে পড়ে যায় এক কিশোর। তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেন তেলকল মালিক। ক্রেতাকে বাঁচাতে পারলেও, মজুত তেলের ঝাঁঝে অসুস্থ হয়ে প্রাণ যায় তেলকল মালিকের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঁশদ্রোণীর সতীন্দ্রপল্লি। এখানেই সঞ্জয় দাসের তেলকল। তেলকলের মধ্যেই তেলের আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার। বুধবার সকালে সঞ্জয় দাসের তেলকলে তেল কিনতে যায় রাহুল। দশম শ্রেণির ছাত্র রাহুল এলাকায় ফুচকা বিক্রি করে। আচমকাই  আন্ডারগ্রাউন্ড তেলের রিজার্ভারে পড়ে যায় ওই কিশোর।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই ছেলেটির গোঙানির শব্দ কানে আসে তাঁদের। সেসময় দোকানেই ছিলেন মালিক সঞ্জয় দাস। রাহুলের গোঙানির শব্দ শুনেই রিজার্ভারে ঝাঁপ দেন তিনি। রাহুলকে কিছুটা তুলে ধরেন তিনি। তারপর দড়ি দিয়ে তাকে টেনে তোলা হয়। বেঁচে যায় রাহুল। কিন্তু, ততক্ষণে সরষের তেলের প্রবল ঝাঁঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জয়।


তড়িঘড়ি ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন এলাকার মানুষ। লালবাজার থেকে খবর যায় বাঁশদ্রোণী থানায়। তবে চেষ্টা করে সঞ্জয়কে তুলতে পারেননি পুলিসকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় সঞ্জয়কে উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু,  তেল কিনতে গিয়ে কীভাবে রাহুল রিজার্ভারের কাছে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাহুলের বন্ধুরা। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে রাহুল সাউয়ের।