জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডায়মন্ডহারবারে ৭৬ হাজারের বেশি বয়স্ক মানুষকে বার্ধক্যভাতা দেওয়া শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ হাজারেরও বেশি তৃণমূল কর্মীর সহায়তায় সামে হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হচ্ছে ওইসব মানুষজনকে। এনিয়ে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, তিনি গোটা বিষয়টি আয়কর দফতরকে বলবেন। যে ১৬ হাজার তৃণমূল কর্মীর মাধ্যমে ওই ভাতা দেওয়া হচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর করা হবে। শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করল তৃণমূল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রামমন্দির উদ্বোধনে চাঁদের হাট অযোধ্যায়! আসছেন আম্বানি-আদানিরা...


মঙ্গলবার এনিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূলের সাধারণ কুণাল ঘোষ। সেখানে অরূপ বিশ্বাস বলেন, বিজেপি নেতার আইনের অপব্যাখ্যা করছেন। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির আইটি সেলের অমিত মালব্য আমাদের আইনের একটি ধারার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আইপিসির ১৭১ ধারাটা তাঁরা হয়তো ভালোভাবে জানেন না। আমরা যারা জন প্রতিনিধি তাদের প্রধান কাজ মানুষকে সেবা দেওয়া। মানুষের পাশে থাকা। আমরা মনে করি আমাদের বিধানসভা আমাদের কাছে মায়ের মতো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিল তিল করে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি চাইছেন একটি মডেল লোকসভা হিসেবে ডায়মন্ডহারবারকে গড়ে তুলতে। তারই একটি মানবিক প্রয়াস ছিল প্রবীণ মানুষদের পাশে থাকা। এরকম একটি ভালো কাজে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতাদের কেন এত জ্বালা জানি না। তাই তারা এটি নিয়ে অপব্যাখ্যা করছেন।


ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্ধক্যভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এনিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্র সরকার বিপুল টাকা বকেয়া রেখেছে। ফলে বাংলার বহু কাজ প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গায় যখন বিকল্প পদ্ধতিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বার্ধক্যভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে কথা রাখা যায়।  তখন শুভেন্দু অধিকারী ও অমিত মালব্য বিভিন্ন ধরনের কুত্সা করছেন।  সিবিআইয়ে খাতায় নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। সে এখন বড়বড় কথা বলছে। বলছে আয়করকে চিঠি দিলাম। যে পদ্ধতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্ধক্যভাতা দিয়েছেন তা চেক ও ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মধ্যমে। ফলে আয়করকে চিঠি দিলাম, কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে, এই ধরনের কুত্সা কোথাও ধোপে টিকছে না। ১৬,৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কাজ করছেন। সবার টাকা এক জায়গায় করে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। ওরা ১৭১বি ধারাটার ভুল ব্য্যাখা করছে। ওদের গা জ্বালা করছে।


কুণাল আরও বলেন, সিবিআই-ইডির উচিত সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে তল্লাশি করা। আগে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডে গিয়ে তল্লাশি হোক। বিজেপিতে আছে বলে সিবিআই তার দিকে তাকাবে না এটা হতে পারে না। কাচের ঘরে বসে একজন অন্যের দিকে ঢিল ছুড়ছে। সামাজিক কর্তব্য করার পরও যে কুত্সা করা হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। ইডির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এমন অফিসার দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে যার বিরুদ্ধেই সিবিআইয়ের মামলা রয়েছে।  কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিজেপির নির্দেশে। বিজেপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে চাইছেন। রাজ্য সরকার যাতে ভালো কাজ করতে না পারে তার জন্য দিল্লি টাকা দিচ্ছে না। তার মধ্যেও কাজ হচ্ছে। ডায়মন্ডহারবারে অভিষেকের উদ্যোগে একটা কাজ হচ্ছে। ফলে শুভেন্দু ও মালব্য সম্পূর্ণ কুত্সা করছেন। তৃণণূল এর প্রতিবাদ করছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)