নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘরের খাটের ওপর পড়ে রয়েছে স্ত্রীর নিথর শরীর। স্ত্রীর মাথার পাশেই পড়ে স্বামীর দেহ। গলায় গভীর ক্ষত, তার থেকে রক্ত বেরিয়ে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। দরজা নীচ থেকে রক্ত বেরোতে দেখেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। দরজা খুলতেই চোখে পড়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য। বেহারা পর্ণশ্রীতে বৃদ্ধ দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতি দেখে গা কাঁটা দিয়ে উঠেছিল প্রতিবেশীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিধায়ক দীপালি ঘোষের আত্মীয়ের দোকানের সামনে চিপসের প্যাকেট, ভিতরে মজুত অস্ত্র


পর্ণশ্রীর বেণী মাস্টার লেনের বাসিন্দা রথীন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষীই ছিলেন একে অপরের সহচর। পুত্র, কন্যা- সবই আছেন তাঁদের। ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন গুরুগ্রামে আর মেয়ের বিয়ে হয়েছে বহু বছর। কিন্তু বার্ধক্যের কাছে হার মেনেছে যেন অপত্য স্নেহ, মায়া-মমতা, ভালোবাসা, কর্তব্য। সন্তান থাকলেই বয়স্ক বাবা মায়ের খোঁজ তাঁরা কেউই নিতেন না বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।



আরও পড়ুন: স্কুটিতে পিছন থেকে টান সিভিক পুলিসের, লরির চাকায় থেঁতলে গেল ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী


দুবছর আগে সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত হন মীনাক্ষী রায়। সেই থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন। যাতায়াতের পথে রথীন্দ্রবাবুর ঘরের দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে খোঁজখবর নিতেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু সোমবার থেকে সেই ঘরের দরজা একবারের জন্যও খোলেনি। মঙ্গলবারও বন্ধ দরজা দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায় আর দরজার নিচে রক্তের দাগ দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পর্ণশ্রীর থানার পুলিস মঙ্গলবার সকালে ঘরের দরজা ভাঙলেই মর্মান্তিক দৃশ্য।


প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সোমবার রাতেই মৃত্যু হয় মীনাক্ষীদেবীর। স্ত্রী-বিয়োগ সহ্য করতে পারেননি রথীন্দ্রবাবু। আরও অসহায় হয়ে পড়বেন, একাকীত্ব আরও গ্রাস করতে তাঁকে, এই আশঙ্কা থেকেই হয়তো গলায় নলি কেটে আত্মঘাতী হন তিনি। এই ঘটনা আবারও একবার প্রশ্ন তুলল, বয়স হলেই কি একাকী হবে জীবন? ভারী হবে বেঁচে থাকা?