শ্রাবন্তী সাহা:  পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে  চিকিত্সক বাবা। ছেলে তাড়িয়ে দিয়েছে তাই বৃদ্ধ বাবার ঠাঁই হয়েছে নিজের তৈরি নার্সিংহোমে।  খাস কলকাতার ঘটনায় তাজ্জব আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছেলে কথা রাখেনি। গড়িয়াহাটের বাসিন্দা পেশায় মানসিক চিকিত্সক   বিশ্বরন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ,  বিয়ের পর থেকে ছেলে অশান্তি শুরু করেন। তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেয় ছেলে। কখনও ভয় দেখিয়ে,  আবার কখনও  মারধর করে  ব্ল্যাঙ্ক  চেকে সই করতে বাধ্য করেছে একমাত্র ছেলে ও বৌমা। 


আরও পড়ুন: শাহ অসুস্থ, বাংলার সভায় ডাক পড়তে পারে যোগীর


অভিযোগ,  হুইলচেয়ারে বসেও ছেলের হাতে মার খেতে হয়েছে তাঁকে।  পুলিশের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি । বিচার চেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন  পঁচাত্তরের বৃদ্ধ বিশ্বরনবাবু।  শারীরিক  অসুস্থতার  কারণে  তিনি হাঁটতে পারেন  না । স্ত্রীর  মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলের সঙ্গেই বাড়িতে  থাকতেন।  কিন্তু গত বছরের জুন মাসে ছেলের বিয়ের পরেই তাঁর ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার শুরু হয়।


আরও পড়ুন: ৪১ বছর পর কলকাতায় আবার সার্কাস হবে, ১৯’এর ব্রিগেডকে কটাক্ষ মুকুলের


 ছেলের  দ্বিতীয় বিয়ের পর অশান্তি শুরু হয়।  গত নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বাড়ি ফিরে এলে,  ছেলে ও বৌমা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ । এরপর থেকে নিজের নার্সিং হোমেই থাকছেন ওই চিকিত্সক ।  তাঁর আইনজীবী অংশুমান চক্রবর্তীর অভিযোগ,  পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে বেশ কয়েকবার গড়িয়াহাট থানাতেও গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ না হওয়ায় শেষে ছেলে বৌমা বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে তিনি মামলা করেছেন ।  চিকিত্সকের আক্ষেপ,  “সারাজীবন  মানসিক রোগের চিকিত্সা করেছেন। আর আমার ছেলে... মানসিকভাবে অসুস্থ না হলে কী  আর যে কোলে পিঠে  করে মানুষ করল তাঁকেই ছুড়ে ফেলে দেয়!”