ওয়েব ডেস্ক : বড়দির নার্সিংহোমের পর এবার মোহনানন্দ শিশু সেবা কেন্দ্র। শিশু পাচারের জাল বেহালার আরেক নার্সিংহোমে। রায় বাহাদুর রোডে এই নার্সিংহোম থেকেই সদ্যোজাত পাচারের নোংরা কারবার চালাত নিত্যানন্দ বিশ্বাস। জড়িত ছিল নার্সিংহোমের মালিক ও চিকিত্‍সক সুনীল নাগ। নামেই চিকিত্সক। নিত্যানন্দ বিশ্বাসের আসল পেশা শিশুর বেসাতি। আর রায়বাহাদুর রোডের মোহনানন্দ শিশুসেবা কেন্দ্র থেকেই চলত সদ্যোজাত পাচারের কারবার। এটা শিশু সেবা কেন্দ্র!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাইরে থেকে ঝাঁ চকচকে। সিঁড়ি দিয়ে দোতলা উঠলেই চোখে পড়বে আসল ছবিটা। এ কি স্টোররুম না ICU? শিশু বিভাগে রয়েছেন বৃদ্ধারা! নামেই শিশু ওয়ার্ড কিন্তু তার পাশেই বহাল তবিয়তে চিকিত্সা চলছে প্রৌঢ়ার।আর তার পাশের বেডেই ভর্তি সংকটাপন্ন সদ্যজাত।


শিশু পাচারের কেন্দ্র?


এটা তো শুধুই মোড়ক। শিশু সেবা কেন্দ্রের সাইনবোর্ডের আড়ালে এখানে আসলে চলত শিশু পাচার। আর যার ভরকেন্দ্রে চিকিত্সক নিত্যানন্দ বিশ্বাস। CID-র কাছে সেকথা ফাঁস করেন মসলন্দপুরের সরকার দম্পতি। ১৪ জুলাই ২০১৫, মসলন্দপুর থেকে সদ্যজাত সন্তানকে মোহনানন্দ শিশু সেবাকেন্দ্রে ভর্তি করেন আশিস-কানন সরকার। সরকার দম্পতির সদ্যজাত সন্তানের হার্টে ফুটো থাকায় চিকিত্সক তপন বিশ্বাস শিশুটিকে নিত্যানন্দ বিশ্বাসের কাছে পাঠান। সরকার দম্পতিকে জানানো হয় রাতেই  অপারেশন টেবিলে মারা গেছে শিশুটি। সকালে মৃত সন্তান তুলে দেওয়া হয় সরকার দম্পতির হাতে।


জড়িয়ে মালিকও?


আর গোটা কাণ্ডে আগাগোড়া জড়িয়ে ছিল মোহনান্দের মালিক সুনীল নাগও।  মসলন্দপুরের শিশুটির ডেথ সার্টিফিকেটও সই তাঁরই। ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরার সামনে সেকথা স্বীকারও করেছে কীর্তিমান ডাক্তারবাবু।ডেথ সার্টিফিকেট সই তাঁর হলেও শিশু পাচারের সঙ্গে তার যোগের কথা মানতে নারাজ সুনীল নাগ। তার দাবি আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য? আপাতত সেটাই খতিয়ে দেখছে সিআইডি।