নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার তিন দেশের সংখ্যালঘু মানুষদেরই এদেশে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিরোধীরা এনিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কলকাতার স্বভূমিতে অর্থ-অ-কালচারাল ফেস্ট অনুষ্টানে এসে বললেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাগদাদে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর দু’টি রকেট হামলা


রবিবার অনুষ্ঠানের একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এর মধ্যে উঠে আসে অযোধ্য মামলার রায়, সিএএ, ধর্মীর স্থান পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপ-সহ একাধিক বিষয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বামী বলেন, বর্তমান সরকার যে কাজ করেছে সেই কাজটাই ২০০৩ সালে সরকারকে করতে অনুরোধ করেছিলেন মনমোহন সিং।  বিরোধী আসনে দাঁড়িয়ে তিনি সরকারকে অনুরোধ করেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্থান থেকে যেসব সংখ্যালঘু মানুষজন আসছেন তাঁদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। এই আইনে এদেশের একজন মুসলিমেরও কোনও ক্ষতি হবে না। আজ তারাই প্রশ্ন তুলছেন।


প্রশ্ন ওঠে, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার উদ্বাস্তু মানুষদের নাগরিকত্ব কেন নয়?  সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, দেশভাগের পর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এদেশে এসেছেন।  তাদের অনেকেই ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু একাত্তরের যুদ্ধের পর ধর্মের কারণে অত্যাচারিত হয়ে অনেকেই এদেশে এসেছেন। আমাদের দেশের নীতিই ছিল এদের নাগরিকত্ব দেওয়া।  সেটাই দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় গোলমালের সময়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক কোটি মানুষ। অশান্তি মিটে যেতে তাদের অনেকেই ফিরে গিয়েছেন। রয়ে গিয়েছেন মাত্র ১৬,০০০ মানুষ।


নাগরিকত্ব আইন ছাড়াও অযোধ্যা মামলার রায় সম্পর্কেও মন্তব্য করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বলেন, এতদিন ধরে পড়ে থাকা একটি মামলার নিস্পত্তি হয়েছে। দেশের মুসলিমরা এই রায় মেনে নিয়েছেন। তাদের ধন্যবাদ।


উল্লেখ্য, স্বভূমিতে ৪-৫ জানুয়ারি বসেছে ফেস্টের আসর।   ভাষা, খাদ্যাভ্যাস ও সংস্কৃতি- ভারত মানেই বৈচিত্র্যময়। একটা রাজ্যেই যে কতরকম সংস্কৃতি থাকতে পারে, তা বোধহয় ভারতদর্শন না করলে বোধগম্য হবে না। এমন বাহুমাত্রিক সংস্কৃতির উদযাপন করতে চলেছেন 'অর্থ- আ কালচার ফেস্ট'। নতুন বছরের শুরুতে 'অর্থ-আ কালচার ফেস্টে' উদযাপিত হবে 'ভারত'। আর ভারত মানেই তো 'বিবিধের মাঝে মিলন মহান'- নানা সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্যের ধাত্রীভূমি। 'অর্থ-আ কালচার ফেস্টে' ব্যপ্তি শুধু ভাষা ও সংস্কৃতিতেই থেমে নেই। ভারতীয়ত্ব, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, ভারতীয় বিজ্ঞান ও ঐতিহ্যের জ্ঞান, কলা ও হস্তশিল্প, সমাজ, অর্থনীতি ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে।



আরও পড়ুন-বর্ষবরণের রাত থেকে নিঁখোজ, ভ্যাট থেকে উদ্ধার ১৯ বছরের যুবকের  ক্ষতবিক্ষত দেহ


অনলাইন, মুদ্রণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- Zee-এর সমস্ত প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে বহুভাষা ও সংস্কৃতির উদযাপন। আলোচনাচক্রে থাকবেন মমতা শঙ্কর, প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়, বিক্রম ঘোষ, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, বাবুল সুপ্রিয়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রাম মাধবের মতো ব্যক্তিত্বরা। ৪ জানুয়ারি, শনিবার সন্ধে ৭টায় থাকছে বিক্রম ঘোষের লাইভ পারফরম্যান্স। পরের দিন ৫ জানুয়ারি সন্ধে ৭টায় রয়েছে ইউফোরিয়া লাইভ।