ওয়েব ডেস্ক : রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে উত্তাল বিধানসভায় আবদুল মান্নান বলার সুযোগ পেলেও সুজন চক্রবর্তীকে বলতে দেওয়া হল না। কংগ্রেস-সিপিএম দু-পক্ষেরই অভিযোগ, এ ভাবে কৌশলে তাঁদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইছে শাসকদল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ বিধানসভায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিস দেয় বাম ও কংগ্রেস। স্পিকার অনুমতি দেওয়ায় জিরো আওয়ারে বলতে ওঠেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, "এব্যাপারে সরকার কিছু বলুক। জিনিসের দাম বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের চেয়ে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতন প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ কম। ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার নীরব কেন?"


জিরো আওয়ারে বামেরাও ডিএ নিয়ে বলতে চান। শুরু হয়ে যায় হৈচৈ। স্পিকার বামেদের দাবি খারিজ করেন। উত্তর দিতে ওঠেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সভায় মুখ্যমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী নেই। তাই বিষয়টি তাঁদের নজরে আনা হবে।"


পরিষদীয় মন্ত্রীর উত্তরে বিরোধীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় সভার উত্তাপ কমেনি। হৈ-হট্টগোলের মধ্যেই বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলতে উঠলে তাঁকে থামিয়ে দেন শাসক
দলের বিধায়করা। প্রতিবাদে সভাকক্ষ থেকে ওয়াক-আউট করেন বামেরা। ডিএ নিয়ে কংগ্রেসকে বলতে দেওয়া হলেও বামেদের বলতে দেওয়া হয়নি। আর তাতেই এই প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাচ্ছেন বিরোধীরা। ইদের আগেই শেষ হচ্ছে বিধানসভার চলতি অধিবেশন। এদিনের ঘটনার পর অধিবেশনের শেষ কয়েকদিন সরকার ও বিরোধী পক্ষ কী কৌশল নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।