নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ২২ নভেম্বর বৈঠক হচ্ছে না। ওই বৈঠকটি হবে ডিসেম্বরে। একথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পাঁচটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ চলায় বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই ব্যস্ত, সে কারণে ভোট মেটার পর বৈঠকটি রাখা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনডিএ ছাড়ার পর বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। বৈঠকের পর চন্দ্রবাবু নাইডু দাবি, গণতন্ত্র বাঁচাতেই বিরোধীদের জোট করতে হবে। চন্দ্রবাবুর সুরে রাহুল গান্ধীও জানিয়ে দেন, অতীত ভুলে এগোতে চান। দাক্ষিণাত্যে কর্ণাটকে গিয়ে এইচডি দেবগৌড়া ও তাঁর ছেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গেও দেখা করেন চন্দ্রবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া বিরোধী জোট সম্ভব নয়, সেই জন্যে মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। 


২২ নভেম্বর দিল্লিতে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শোনা যাচ্ছে, মমতার আপত্তিতেই বৈঠকটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ডিসেম্বরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, তড়িঘড়ি বৈঠক না করে সবাইকে এক মঞ্চে আসার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। পাঁচ রাজ্যে ভোটের পর এব্যাপারে আলোচনা সম্ভব। বলে রাখি, জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী। ওই সমাবেশে থাকবেন বিরোধী শিবিরের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।   


মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম- পাঁচটি রাজ্যে  চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে রাজস্থান বিজেপির হাতছাড়া হচ্ছে বলে মনে করছে বিরোধী শিবির। কিন্তু ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশ নিয়ে আগে থেকে ভবিষ্যত দোদুল্যমান। এই প্রেক্ষাপটে ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিরোধী ও শাসক শিবিরের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট হবে। বিজেপির থেকে তিনটি রাজ্য কংগ্রেস ছিনিয়ে  নিতে পারলে বৈঠকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে হাজির হতে পারবেন রাহুল গান্ধী। সেক্ষেত্রে দর কষাকষির অঙ্কে কংগ্রেস সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে পারবে। আর উল্টোটা হলে বিরোধীদের হাত শক্ত হবে। সবমিলিয়ে ভোটের ফলের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। 


আরও পড়ুন- এক্সক্লুসিভ: গোমাতার পুজো করেই তৃণমূল নেতা বললেন,'আমি গোহত্যার বিরোধী'