ওয়েব ডেস্ক: শোভনা সরকার পেরেছিলেন। বাসুদেব বসু পারলেন না। শেষ ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর পর অঙ্গদানের। কিন্তু, জানা ছিল না নিয়ম। বাসুদেব বসুর মৃত্যুর পর বিস্তর ছোটাছুটি করেও অঙ্গদান করাতে পারলেন না তাঁর মেয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজের মৃত্যুতে চারজনকে নতুন জীবন দিয়ে গিয়েছেন শোভনা সরকার। সংবাদমাধ্যমে তাঁর খবরে এসেছে নতুন জাগরণ। অঙ্গদানে ইচ্ছুক এখন অনেকেই। তবে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয় না। একাধিক শারীরিক জটিলতা নিয়ে NRS-এর মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন বাসুদেব বসু। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় সিঁথির বাসিন্দা ৭৪ বছরের বৃদ্ধের। বাসুদেব বসুর শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর নিজের অঙ্গদান করে যাওয়ার ।


বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণে বিস্তর ছোটাছুটি করেন বাসুদেবের মেয়ে বসুধা। কিন্তু, অনুরোধ রাখতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শোভনা সরকারের পরিবার পারলেও বাসুদেব বসুর পরিবার পারেনি। কারণ, শোভনা সরকারের ব্রেন ডেথ হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অঙ্গপ্রতিস্থাপন সম্ভব। কিন্তু বাসুদেব বসুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সেখানে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা তুলনায় কঠিন। তবে এই বাধা সত্ত্বেও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা কঠিন হত না। বাসুদেব বসুর পরিবার আগে থেকেই তাঁর শেষ ইচ্ছার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারত।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই প্রস্তুত থাকলে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব। মৃত্যুর একঘণ্টার মধ্যেই প্রতিস্থাপন করলে লিভার, কিডনির মতো অঙ্গকে বাঁচানো যেতে পারে। চোখ, ত্বক ও হাড়ও মৃত্যুর কয়েকঘণ্টার মধ্যে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। আগে থেকেই জানানো থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও গ্রহিতার সন্ধান করে রাখতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের কমিটির সঙ্গেও যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে রাখতে পারে। এই প্রস্তুতি নিলেও অবশ্য বাসুদেব বসুর মরণোত্তর অঙ্গদান সম্ভব ছিল না। কারণ, বাসুদেব বসু মারা যান NRS হাসপাতালে। কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজ ও SSKM ছাড়া কোনও হাসপাতালেই অঙ্গপ্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নেই। তাই সবার আগে জরুরি পরিকাঠামো গড়ে তোলা।