মৌমিতা ভট্টাচার্য: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবর আসছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি। ডোমকলে, ভাঙড়ে, দিনহাটায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন তাদের বাধা দিচ্ছে শাসকদল। এনিয়ে এবার পাল্টা মারের নিদান দিলেন সিপিএম নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশের প্রতিও তাঁর একই বার্তা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আইএসএফ নেতাকে মনোনয়ন ফর্ম দেওয়ায় সরকারি কর্মীর নাকে ঘুঁসি মারার অভিযোগ, তোলপাড় ভাঙড়


বিকাশবাবু বলেন, সন্ত্রাস হলে পাল্টা মার দিতে হবে। আইন আমি বুঝে নেব। রক্তের বিনিময়েই অধিকার আদায় করতে হবে। আইনি কোনও সমস্যা হলে বুঝে নেব। অধিকার যদি আদায় করতে হয় তাহলে এটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। পুলিস যদি মানুষের পাশে থাকতেন তাহলে একথা বলতে হতো না। তৃণমূল জেনে গিয়েছে নীচের তলার মানুষ আর তাদের কথা শুনবে না। অতএব গুন্ডাদের দিয়ে যতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার ব্যবস্থা করছে। সেই পরিকল্পনারই বাস্তব রূপায়ন হচ্ছে। এর থেকে বাঁচার উপায় পাল্টা মার। এই পথ রানীনগর দেখিয়েছে, ডোমকল দেখিয়েছে। ২০১৮ সালের ভোটেও বলেছিলাম দলবদ্ধভাবে মনোনয়ন দেওয়া হোক। বাধা দিলে পাল্টা মারবেন। আইন আমি বুঝে নেব। এখনও দলের সব কর্মীদের সেই কথাই বলছি।


উল্লেখ্য, গতকালই কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের এক পক্ষ অন্য পক্ষকে আক্রমণ করে। গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। আহত হন আরও একজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি গোষ্ঠী তৃণমূলের নাম নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। আহতদের পরিবারের দাবি, ওই মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরই অন্য গোষ্ঠী এসে হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ওখরাবাড়ি এলাকায় কাউরায় ওই ঘটনা ঘটেছে। আহত তৃণমূল কর্মীকে দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে গেল তাকে কোচবিহার মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিসের দাবি, ওই ব্যক্তির মাথায় লাঠির আঘাত রয়েছে। কোনও গুলি চলেনি।


গতকালই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বিডিও অফিস চত্তরে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ তাঁদেরকে মারধর করেছে তৃণমূল। ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। অভিযোগ করা হয়েছে যে তৃণমূলের সমর্থকরা মারধর করেছে কংগ্রেস কর্মীদের উপর। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ তৃণমূলের লোকজনে বিডিও অফিসের চারদিকে ঘিরে রেখেছে এবং তাঁরা কংগ্রেস ও সিপিএমকে ঢুকতে দেয়নি।


অভিযোগ করা হয়েছে যে শনিবার সকালে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ডোমকলে যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাসের আলি। তাঁর বিরুদ্ধেই বার বার করে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাসের আলি সহ আরও বেশ কিছু নেতার নাম উঠে আসছে বলে জানা গিয়েছে। সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


আইএসএফ নেতাকে কেন মনোনয়নের ফর্ম দেওয়া হল এই অভিযোগ তুলে সরকারি অফিসারকের মারধরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে এমনই অভিযোগ তুলল আইএসএফ। বিদ্যুত্ ঘোষ নামে ওই সরকারি কর্মীকে নাকে ঘুঁসি মারার অভিযোগ উঠল তৃণণূল নেতা রেজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে। চালতাবেরিয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাইম কাদিরকে ফর্ম দেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মী বিদ্যুত্ ঘোষ। সেইসময় আরাবুল ইসলাম ও সওকত মোল্লার মতো নেতাও উপস্থিতি ছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে। এদের উপস্থিতিতেই ওই সরকারি কর্মীকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। 


কি বলেছেন বিদ্যুত্ ঘোষ? 'ডিসিআর কেটেছিলাম। কেন তা কাটা হয়েছে বলে প্রশ্ন করা হল। এসব বলে আমাকে মারল। আমার চশমাটাও ভেঙে টুকরো করে দিয়েছে।' সাইম কাদির  নমিনেশন ফর্ম নিয়ে চলে আসার পর ওই ঘটনা। মারধরের পরই পুলিস এসে সেই সরকারি অফিসারকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে পুলিসের বচসা হয়। তাকেও বিডিও অফিস থেকে বের করে দেয় পুলিস। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)