নিজস্ব প্রতিবেদন: পার্শ্বশিক্ষকদের নজিরবিহীন ডেপুটেশন। আদিগঙ্গায় নেমে বেনজির বিক্ষোভ। অভিনব প্রতিবাদ শিক্ষামিত্র সমিতির। বকেয়া বেতন-সহ একাধিক দাবিতে একেবারে জলে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন পার্শ্বশিক্ষকরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদিগঙ্গা সাঁতরে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। শিক্ষামিত্র সমিতির অভিযোগ, তাঁদের সব দাবিদাওয়া কার্যত জলে গিয়েছে। সে কারণেই জলে নেমেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তাঁরা। কালীঘাটের আদিগঙ্গায় নেমে একপ্রকার সাঁতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে রওনা দেন শিক্ষামিত্রদের একাংশ। 


আরও পড়ুন:  '৯ বছর ধরে বেতন নেই, স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক আদালত,' হাইকোর্টে মাদ্রাসা শিক্ষকরা


এমন বেনজির আন্দোলনে হকচকিয়ে যায় পুলিসও। জল থেকে উঠে আসতে বারবারই অনুরোধ করা হয় প্রতিবাদীদের। শেষপর্যন্ত তাঁদের তুলে আনতে পুলিসকেও জলে নামতে হয়। ঘটনাস্থলে যান পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্র-সহ একাধিক পদস্থ কর্তা। বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া, বেতন বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে       


একাধিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে শিক্ষামিত্র সমিতি। অভিযোগ, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রয়েছে তাঁদের বেতন। দীর্ঘদিন ধরেই সেই বকেয়া বেতনের দাবি জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি চাকরি স্থায়ীকরণেরও দাবি জানিয়েছে তাঁরা। 


বিভিন্ন সময় শিক্ষা দফতর ছাড়াও বিভিন্ন আধিকারিকদের কাছে এই সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কাজ হয়নি তাতেও। শিক্ষা ঐক্য় মঞ্চের ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন:  ডিম, ভাত, ডাল, তরকারি ৫ টাকায়, 'মা' প্রকল্পের সূচনায় Mamata বললেন,'একদিন খেতে যাব'


মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমন ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই বেতনবৃদ্ধি, সম কাজে সম বেতনসহ একগুচ্ছ দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষকদের মোট ১৩ টি সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমন্বয় কমিটির ডাকে শিক্ষক সমাবেশে যোগ দিতেই ক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। তিনি মঞ্চে পৌঁছলেও থামে না বিক্ষোভ।


রাজ্যের বাজেটে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য তিন শতাংশ ভাতাবৃদ্ধি, অবসরকালীন ভাতার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের পক্ষে জানানো হয়েছে, ভাতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। তবে একইসঙ্গে বেতনবৃদ্ধির দাবিও করছি।