ওয়েব ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে রায় ঘোষিত হল। অভিযুক্ত সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামিকাল দুপুর ২ টোয় সাজা ঘোষণা করা হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় শুনসান রাস্তায় রাতে অন্ধকারে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যেই ধর্ষিতা হন এক তরুণী। রাতেই অভিযোগ জানাতে ছুটে যান থানায়।তারপর যা ঘটেছিল, তা এরাজ্যের পুলিস এবং প্রশাসনের কাছে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হয়েই থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু ধর্ষিতার চরিত্রই নয়। পুলিসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয় ঘটনার সত্যতা নিয়েও। কলকাতা পুলিসের তত্‍কালীন নগরপাল রঞ্জিত পচনন্দা দাবি করেছিলেন, গোটা ঘটনা সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা মাত্র। তারপর থেকেই পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।


চাপে পড়ে রুমান খান, সুমিত বাজাজ এবং নাসের খান নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে ফেরার মূল অভিযুক্ত কাদের খান এবং মহম্মদ আলি। এরপর থেকে সম্পূর্ণ অন্য এক ভূমিকায় দেখা গেল নির্যাতিতাকে।  যেখানেই নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে , ছুটে গিয়েছেন তিনি। ফলে অচিরেই পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের নির্যাতিতা হয়ে ওঠেন প্রতিবাদের আরও একটি মুখ। সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।


১৩ মার্চ ২০১৫। মেনিনজাইটিসে মৃত্যু হয় প্রতিবাদীর। তবে প্রতিবাদী না থাকলেও, সুবিচার মিলছে। বিচার পেলেন প্রতিবাদী? শাস্তির পরই জানা যাবে, ঠিক কতটা বিচার পেলেন ধর্ষিতা এবং তাঁর পরিবার। সাজানো ঘটনা সত্যি প্রমাণ হল আদালতে।