নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দু হোস্টেলের দাবিতে এবার ‘সরব’ হলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “ছাত্রছাত্রীদের কথায় যুক্তি আছে। ওরা ন্যায্য দাবিই তুলেছে। আমি ছাত্রাবস্থায় থাকলে হয়ত একই রকম কাজ করতাম”। একই সঙ্গে এদিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অবিলম্বে হিন্দু হোস্টেল ‘ফিরিয়ে’ দিতে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, এদিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ফোন করে খানিক বিরক্তিই প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ২ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেন এখনও হিন্দু হোস্টেল সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হল না, সে বিষয়ে উপাচার্যের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন তিনি এবং পড়ুাদের যাতে আর না কষ্ট করতে হয়, সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব হোস্টেল মেরামতির কাজ সম্পন্ন করতেও বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


*মেডিক্যাল কলেজের পর এবার হোস্টেলের দাবিতে অবস্থানে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা


প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের অগস্ট থেকে হিন্দু হোস্টেল মেরামতির কাজ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের জানিয়েছিল, ১১ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করে তা   পুনরায় বাসযোগ্য করে তোলা হবে। তবে প্রুতিশ্রুতিই সার, ঢিমে তালে এগোচ্ছে ঐতিহ্যের হিন্দু হোস্টেল মেরামতির কাজ। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ একটা সময় যে হোস্টেলে নিজের ছাত্রাবস্থা কাটিয়েছেন, তার এমন বেহাল অবস্থা দেখে প্রসিডেন্সির প্রাক্তনীরাও সরব হয়েছেন। তবে সবথেকে বেশি আলোড়ণ তৈরি করেছে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারাই।


মেডিক্যাল কলেজের মতো তাঁরাও অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। শুক্রবার ঘেরাও করা হয়েছে ডিন অব স্টুডেন্টস এবং বাকি আধিকারিকদেরও। হোস্টেল সমস্যা না মিটলে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনকেই ‘হোস্টেল বানিয়ে দেওয়ার হুমকি’ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে ঘরোয়া সামগ্রীও আনতে শুরু করেছেন তাঁরা। এই অবস্থায় উপাচার্যকে ফোন করে সমস্যা সমাধানের কথা বললেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। এতে খুব শীঘ্রই হিন্দু হোস্টেল সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের।