কমলিকা সেনগুপ্ত 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজনীতিতে মতভেদ থাকতে পারে তবে প্রণব মুখোপাধ্যায় বাঙালি পরিচিতিই ধুয়ে দিল সেই ফারাক। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ায় খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মহাসচিব জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ফোনে জানালেন, বাঙালি হিসেবে গর্বিত। তবে একইসঙ্গে পার্থবাবু এটাও মনে করেন, লোকসভা ভোটের আগে প্রণববাবুর ভারতরত্ন পাওয়ার ঘোষণায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে মোদী সরকারের।        


পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,''বাঙালি হিসেবে গর্বিত। একজন বাঙালি ভারতরত্ন পেলেন। উনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। ভারতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন প্রণববাবু। যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। উনি ভারতরত্ন পাওয়ায় ভাল লাগছে''। 


এর পিছনে কি রাজনীতি রয়েছে? পার্থবাবুর জবাব, এটা নিঃসন্দেহে লোকে বলতেই পারে। তবে তাতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষের সম্মানহানি হয় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বৈকি। বাংলা ও অসম থেকে ভারতরত্ন দেওয়ার কারণ কী? রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে লোকে বলতে পারে। তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


প্রণব মুখোপাধ্যায় ছাড়া মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন অসমিয়া সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও সমাজকর্মী নানাজি দেশমুখ। টুইটারে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ''প্রণব দা দারুণ রাজনীতিবিদ। কয়েকদশক ধরে দেশের জন্য নিঃস্বার্থ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রণব তিনি। তাঁর মতো জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা খুব কম লোকেরই আছে। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ায় আমি খুশি''।      
  



রাহুল গান্ধী লেখেন,''ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ায় প্রণব দাকে অভিনন্দন। জনসাধারণের কাজে ও দেশগঠনে তাঁর ভূমিকা আজ স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁকে সম্মানিত করায় গর্বিত কংগ্রেস''। 


 



দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস গোপন করেননি প্রণবকন্যা। তাঁর কথায়, ''পরিবারের জন্য গর্বের মুহূর্ত''।  



ইন্দিরা গান্ধীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। মাঝে মতান্তর হলেও আজীবন কংগ্রেসি রাজনীতি করে এসেছেন। বিদেশ, অর্থের মতো মন্ত্রক দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বাংলার বীরভূমের কীর্ণাহারের সন্তান প্রণববাবু জাতীয় রাজনীতিতে মহীরূহ বললেও কম বলা হয়।


আরও পড়ুন- মেয়ে হয়েও চাকরি, প্রতিদিন দেরিতে ঘুম ওঠা, এই অপরাধেই বধূকে 'খুন'