ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের ৭৭ হাজার বুথে তাঁর লোক রয়েছে বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। দলকে ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলেই মত অনেকের। কিন্তু মুকুল বিদায় নেওয়ায় দল বেঁচে গিয়েছে বলেই দাবি করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন, নীতিবোধ থেকে নয়, বরং সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপির শরণাপন্ন হয়েছেন মুকুল রায়। পার্থকে বাচ্চা ছেলে বলে কটাক্ষ করেছেন মুকুল। তার পাল্টা পার্থর খোঁচা, কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলের হাত থেকে দল বাঁচল। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মত অবশ্য ভিন্ন। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন,"মুকুল রায়কে নিলে যে কোনও দলই সংগঠনে লাভবান হবে। তবে উনি বিজেপিতে আসার প্রস্তাব দেননি।" 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দলে একনায়কতন্ত্র চলছিল বলে অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়। পার্থর প্রতিক্রিয়া, “পদ চলে যেতে মুখ খুলছেন। এতদিন পরে বোধোদয় হল? দলের কর্মীরা আমাদের সহকর্মী, চাকর নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোল মডেল। উনি আমাদের নেত্রী। আসলে উনি জমিদার। দলকে জমিদারির মতো চালাতে চেয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সালে ওনাকে শেষ সুযোগ দিয়েছিলেন।”  
 
বিজেপির হাতে তামাক খেয়ে মুকুল বিদ্রোহ করেছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব। পার্থবাবুর কথায়, “সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওনার পিছনে কেউ সুতো ধরে আছে। অনেক গুঁতো খাওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়, মিষ্টি কথা বলে যদি ঢোকা যায়।”  




 
আরএসএস-এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ ছিল বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব। তাঁর দাবি, কেউ অশোক সিঙ্ঘলের সঙ্গে যোগযোগ রাখতে মুকুলকে বলেনি। এতদিন কেন চুপ করেছিলেন? পদহীন হতেই সব মনে পড়ছে। মুকুলের রাজনৈতিক কেরিয়ারের এখানেই ইতি হল বলেও কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন,’’ছুটির পরে একেবারে ছুটি নেবে কিনা, সেটা দেখি।”


আরও পড়ুন, ভাগ মুকুল ভাগ আসলে তৃণমূল ছাড়ার কথা বলেছিলাম: দিলীপ