অর্ণবাংশু নিয়োগী: সোমবারই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। বাইরন বিশ্বাসকে উত্তরীয় পরিয়ে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, বাইরন বিশ্বাস যেমন তৃণমূলে এসেছেন। ঠিক তেমনি একে একে সবাই তৃণমূলে আসবেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন বাইরন বিশ্বাস। উপনির্বাচনে সাগরদিঘিতে জোর ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য-রাজনীতিতে কথা শুরু হয়েছিল সাগরদিঘি মডেল নিয়ে। কিন্তু উপনির্বাচনের তিন মাসের মাথায় ধাক্কা খেল সেই মডেল। যাকে একদা 'আয়রন' বলে ভূষিত করেছিলেন অধীর চৌধুরী, সেই বাইরন বিশ্বাস হাত শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে এসে যোগ দান করেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিষেকের পাশে বসে বাইরন বলেন, 'সাগরদিঘিতে যে জয়ী হয়েছিলাম, তার পিছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না। বরবারই আমরা তৃণমূল করে আসছি। তৃণমূলের কাছ থেকে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত টিকিট পাইনি বলেই কংগ্রেসের কাছ থেকে টিকিট নিতে হয়েছিল।' 


অন্যদিকে, বাইরনকে দলে টেনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমার দল ভাঙার হলে মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলাম সেখানেই বাইরনকে যোগ দেওয়াতে পারতাম। মেদিনীপুরে বাইরন নিজে এসে যোগ দিয়েছে। কালকে যদি বোতাম টিপি কংগ্রেসের চারটে সাংসদ দলে আসবে। কিন্তু সৌজন্যের রাজনীতি করি তাই করি না।' এখন দেখার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের 'ড্রাইভিং ফোর্সের নেতা' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আর কে কে দলবদলুদের দলে নাম লেখায়!


তবে বাইরন বিশ্বাসকে নিয়ে মুখ খুললেও গতকাল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দুর্নীতির সব দায় তাঁর উপর চাপানো ও তাঁকে দোষারোপ নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। প্রসঙ্গত, বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যই সব জেনেশুনেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। যদি তাঁর ফ্ল্যাটে কেউ জোর করে টাকা রাখেন বা সই করাতেন তাহলে তিনি কেন আগে অভিযোগ দায়ের করেননি? কারণ, তিনি এই বিলাসবহুল জীবন চেয়েছিলেন এবং তা ভোগ করেছেন। গতকাল অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের জামিনের বিরোধিতা করে সাফ জানায় ইডির। 


ইডির স্পষ্ট বক্তব্য, এই দুর্নীতিকাণ্ডে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ও সমানভাবে দোষী। কারণ, দুজনে একসঙ্গে সম্পত্তি কিনেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজা। এবার অর্পিতাকে ঠিক করতে হবে তিনি ডি-ফ্যাক্টো রাণী ছিলেন নাকি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তাঁর আঙ্কেল ছিলেন। কারণ, পার্থর ৩১ টি LIC পলিসির নমিনি ছিলেন অর্পিতা। প্রত্যেকটাতে সইও করেছিলেন অর্পিতা। যদিও গতকাল দুর্নীতির যাবতীয় দায়ভার পার্থর উপরই চাপান অর্পিতার আইনজীবী। অর্পিতার আইনজীবী দাবি করেন, যা টাকা পাওয়া গিয়েছে তা পার্থর। পার্থই মাস্টারমাইন্ড। অর্পিতার নিজস্ব তিনটি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া অর্পিতার নামে অন্য যে সম্পতি রয়েছে তার যাবতীয় কন্ট্রোল ছিল পার্থর হাতে। 


আরও পড়ুন, Jhargram: জোড়া দেহ উদ্ধার! নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঝাড়গ্রাম শহরে, তীব্র চাঞ্চল্য



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)