নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানাল রাজ্য। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে 'ধীরে চলো' নীতির পক্ষপাতী রাজ্য। এখনই প্রয়োগ নয়, আরও আলোচনার দরকার। জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে একথা বুঝিয়ে দিল রাজ্য। আজ এই বৈঠকে এরাজ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানেই নিজের মত স্পষ্ট করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাধিক ইস্যুতে আপত্তিও তুলে ধরেন। করোনার সময় সেটাই প্রাধান্য পাক অন্য কোনও বিষয় নয়, তাও স্পষ্ট করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এভাবে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে।" সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, "আমায় শেষে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমি রাষ্ট্রপতিকে বলেছি আমাদের রাজ্যের অনেকগুলো বিধির ওপরে আপত্তি আছে। আমরা বলেছি উচ্চশিক্ষাকে যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয়করণ, বানিজ্যকরণ হচ্ছে। এই কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে বিবিধ ভাষার দেশ ভারতে ছাত্রদের কাছে যে নমনীয়তার কথা বলা দরকার, তা এখানে নেই।" এর পাশাপাশি পার্থ চ্যাটার্জি তোপ দাগেন, "ক্লাসিক্যাল ভাষায় বাংলা-ই নেই। জাতীয় সঙ্গীত যিনি রচনা করেছেন, তাঁর ভাষা-ই ধ্রুপদী ভাষার তালিকা থেকে বাদ।"


তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ করছে। রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী নয়। আলাপ আলোচনা না করে এখনই কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগের কোনও বিষয় নেই। শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, "আমাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হোক। যাতে সকলের সঙ্গে কথা বলে আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে পারি। সময় লাগবে এই আলাপ আলোচনার জন্য।"


আরও পড়ুন, লকডাউনের দিন বিষ্ণুপুরে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী গৃহবধূ, আনা হল SSKM-এ