নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে রাজ্য় সরকার। গ্রেড পে বাড়িয়ে ৩৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। পাঠানো হয়েছে ফাইলও। এদিন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভায় এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। ফের কাজে যোগ দিতে বলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন কাঠামো ৫,৪০০-২৫,২০০। গ্রেড পে-২,৩০০/২,৬০০। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় যা অনেকটাই কম। এই বেতন বৈষম্য দূর করতেই প্রাথমিক শিক্ষকরা অনশনে বসেছেন। গ্রেড পে বাড়িয়ে ৪২০০ করার দাবি করেছিলেন অনশনকারীরা। আজ শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য নতুন প্রমোশন পলিসি আনছে সরকার। সেক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রমোশন দিয়ে প্রাইমারি থেকে আপার প্রাইমারি স্তরে উন্নীত করা হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।


পাশাপাশি, বদলির প্রসঙ্গে অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে বলে সভায় জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, "আজই অর্ডার দিয়েছি। যাঁদের ট্রান্সফার ঠিকমতো হয়নি, তাঁদেরটা নিয়ম মতো করা হবে।" পাশাপাশি, শিক্ষকদের বদলির আবেদন নিয়ে তাঁর পরিস্থিতি  বোঝাতে গিয়ে রসিকতাও করতে দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বলেন,"এত বেশি মহিলা স্ত্রী রোগে ভুগছেন যে আমি চিন্তায় পড়ে যাচ্ছি।" এদিন আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে দাবি আদায়ের পাশাপাশি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার বার্তাও দেন তিনি।


আরও পড়ুন, হঠাৎই বদলে গেল দিঘার সমুদ্রের জলের রং!


উল্লেখ্য, এর আগে বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, "দিলীপ ঘোষকে সময় দিন, উনিই বেতন বাড়িয়ে দেবেন।" একুশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, "যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বেতন চান, তাঁরা কেন্দ্রে যান। দিল্লির চাকরি করুন। আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি খুশি হব।"