নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের চরমে উঠল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে শাসকদলের নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উষ্মাপ্রকাশ করতেই, পাল্টা সুর চড়ালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তোপ দাগলেন, "তিনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতি সক্রিয় হচ্ছেন। সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ ঠিক নয়। নতুন রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন।" সবমিলিয়ে যাদবপুরকাণ্ডের পর ফের চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এদিন শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল ধনখড়। সেই প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত হলেও আসেননি শাসকদলের কোনও প্রতিনিধি। শাসকদলের শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি পুলিসের কোনও শীর্ষকর্তাও উপস্থিত ছিলেন না। এই ঘটনায় যথেষ্ট হতাশ হন জগদীপ ধনখড়। পরে সাংবিধানিক বৈঠকে খানিকটা উষ্মাপ্রকাশও করেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল।


জেলাশাসক থেকে মন্ত্রী গৌতম দেব কেউই হাজির হননি এদিনের বৈঠকে। সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, "আশা করেছিলাম শাসক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন, তবে ওঁরা নিশ্চই কোনও কাজে আটকে গিয়েছেন, আশা করি পরের বৈঠকে তাঁরা থাকবেন।" এর পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও তিনি এদিন ফের একবার তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন। বলেন, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যার সমাধান সম্ভব। শিক্ষায় নজর না দিলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।" বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বজায় রাখার আবেদন জানান রাজ্যপাল তথা যাদবপুরের উপাচার্য জগদীপ ধনখড়।


আরও পড়ুন, 'রাজ্যে NRC আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, FIR হওয়া উচিত তাঁর বিরুদ্ধেই'


এরপরই রাজ্যপালের বক্তব্যের কড়া সমালোচনায় সরব হয় শাসক শিবির। তৃণমূলের তরফে জারি করা হয় কড়া বিবৃতি। সেই বিবৃতিতে রাজ্যপালকে পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ খুব সুন্দর একটা রাজ্য। রাজ্যপালের উচিত পশ্চিমবঙ্গের সুন্দর জায়গাগুলিকে ঘুরে দেখা এবং রাজ্য সরকারের আতিথেয়তা গ্রহণ করা। এটাই কাম্য।"