ব্যুরো: ফেসবুক কাণ্ডে CPM সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তসনা করল দল। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তরুণ সাংসদকে সতর্ক করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। দুঃখপ্রকাশ করেছেন ঋতব্রতও। কাল রাজ্য কমিটির বৈঠকে ইয়েচুরির উপস্থিতিতে বিষয়টি উঠবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কমিউনিস্ট পার্টির তরুণ সাংসদের হাতে অ্যাপলের দামী ঘড়ি! বুকপকেটে জার্মান ব্র্যান্ডের পেন, যার দাম প্রায় ৩০ হাজার টাকা! 


সর্বহারাদের পার্টির জনপ্রতিনিধি। তাঁরই কিনা এমন স্টাইল! ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন দলেরই এক সদস্য। রেগে ওই সিপিএম সমর্থকের অফিসে ফোন করে বসেন ঋতব্রত। শুরু হয় চাকরি নিয়ে টানাটানি। তারপরই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে আসে সুবক্তা হিসেবে পরিচিত সিপিএমের তরুণ সাংসদের নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়। একের পর এক সমালোচনা। অস্বস্তি বাড়ছিল সিপিএমের। কিন্তু ঋতব্রত কাণ্ডে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই বল রাজ্য কমিটির কোর্টে ঠেলে দেয় পলিটব্যুরো। কারণ ঋতব্রতর বাড়বাড়ন্তের পিছনে বঙ্গ সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের প্রশ্রয় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে দলের অন্দরেই। বুধবার থেকে আলিমুদ্দিনে শুরু হয়েছে সিপিএমের দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সরাসরি ঋতব্রত প্রসঙ্গ উঠলে, বৈঠকে কাদা ছোড়াছুড়ি হতে পারে। এই আশঙ্কায় ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তড়িঘড়ি রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা তাঁকে ভর্তসনা করেন। গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বুঝিয়ে দেন, এমন আচরণ কখনোই কোনও সাংসদ অথবা কমরেডের কাছ থেকে কাম্য নয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের আচরণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় ঋতব্রতকে।  


ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কেন হঠাত্ ফেসবুকে সরব হওয়া পার্টি সদস্যের কর্মক্ষেত্রে চিঠি দিতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শ্যামল চক্রবর্তীরা। সুজন চক্রবর্তী বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দামী ঘড়ি অথবা পেন পেয়েও থাকেন, তাঁর উচিত জনসমক্ষে সেই বৈভব না দেখানো 


রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ঋতব্রতও। গৌতম দেব, সুজন চক্রবর্তীরা ঋতব্রতর ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করেছেন ঠিকই। কিন্তু আপাতত বিষয়টিতে ইতি টানার পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা। গৌতম দেব বলেন, সংসদে ঋত ভাল বক্তৃতা করেন। বয়স কম, ভুল করে ফেলেছেন। তাই এবার ছেড়ে দেওয়া হোক। সিপিএমে অনেকেই কিন্তু মনে করছেন, এমন ঘটনা দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত আনবে। এদিন অবশ্য ঋতব্রতর হাতে সেই দামী ঘড়ি, আর বুক পকেটে দামী পেন, কোনওটাই দেখা যায়নি। চিঠির শেষে কংগ্রেসের হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন সোনিয়া। বিজেপির দাবি, সোনিয়ার চিঠি থেকেই স্পষ্ট যে জোট একেবারে ফ্লপ। জনতার রায় কী, তা বোঝা যাবে এগারোই মার্চ।