নিজস্ব প্রতিবেদন: পেটিএম প্রতারণার তদন্তে নেমে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিস। গ্রেফতার করা হল ওই ঘটনায় জড়িত জামতাড়া গ্যাংয়ের ৫ জনকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর জোড়াবাগানের এক ব্যবসায়ী পুলিসে অভিযোগ করেন, কেওয়াইসি জমা নেওয়ার নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ২,৮০.৯৭০ টাকা। এছাড়াও এই ধরনের আরও অনেক অভিযোগ জমা পড়ে পুলিসের কাছে।


আরও পড়ুন-'মানুষ ঠিক করে ফেলেছেন মমতাকে বিদায়  দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন' মালদহের রোডশো থেকে নাড্ডা   


এর আগে Debit Card বা Credit Card মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে ফোন করে গ্রাহকদের প্রতারণা করা হতো। এবার একেবারে নতুন পদ্ধতিতে লোক ঠকানো। কলকাতা পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রের খবর, বিভিন্ন থানায় বহু মানুষ অভিযোগ করেছেন তাদের কাছে Paytm সংক্রান্ত একটি এসএমএস আসে। সেখানে বলা হয়, Paytm-এ যে KYC রয়েছে সেটি আপডেট করতে হবে এবং একটি লিঙ্কও পাঠানো হয়। পাশাপাশি, একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয়ে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। দেওয়া হয় একটি লিঙ্কও। ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরই লাখ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চলে যাচ্ছে। এমনটাই করা হয়েছিল জোড়া বাগানের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে।


KYC জমা দিতে হবে বলে একটি  ফোন আসে জোড়া বাগানের ব্যবসায়ী প্রবীণ কুমারের কাছে। তাঁকে বলা হয় তাঁর Paytm অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা হয়েছে। সেটা চালু করতে দিতে হবে কেওয়াইসি।  এর জন্য তাঁকে নামাতে বলা হয় Quick support নামে একটি মোবাইল অ্যাপ। ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর তাতে আসে একটি কোড তিনি ফোনের ওই প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবীণের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল ওই টাকা গায়েব হয়ে যায়।


আরও পড়ুন-BJP-র রথযাত্রার পাল্টা, বুধবার মালদহে জনসভা করবেন Mamata


ওই অভিযাগ পাওয়ার পর কলকাতা পুলিস ওই জালিয়াতি ধরতে একটি টিম তৈরি করে। চিহ্নিত করা হয়ে বেশ কয়েকজনকে। গত পরশু দিন থেকে ঝাড়খণ্ডের জামতারার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি অভিযান শুরু করে পুলিস। ঝাড়খণ্ড পুলিসের সাহায্য়ে করা ওই অভিযানে ৫ জন ধরা পড়েছে। এদের লালবাজারে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  জানা যাচ্ছে বহু মানুষকে এভাবেই অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।