নিজস্ব প্রতিবেদন:  ফুলবাগানকাণ্ডে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতের নাম পৃথবে সাগর, সে নওদার বাসিন্দা। ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই পঙ্কজকে বন্দুকটি দেয়। সেটিই কলকাতায় এনে পঙ্কজ অনিত আগরওয়ালকে দেয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার ২।
গত মাসের মাঝামাঝি ফুলবাগানে এক অভিজাত পরিবারে শাশুড়ি ও বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী খুন করেছিলেন অমিত আগরওয়াল। শাশুড়িকে ছয় এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি করে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন জামাই অমিত। তদন্তে এতদিন পুলিসের কাছে ধোঁয়াশা ছিল অমিত এই পিস্তলটি কোথা থেকে পেয়েছিল। প্রায় দিন ১৮ পর সেই রহস্যভেদ করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে রিভালবার দিয়ে শাশুড়িকে খুন করেছিল অমিত আগরওয়াল সেটি সে কিনেছিল বিহারের বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার প্রসাদের কাছ থেকে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ  বিহারের নঁওদা জেলায় তাঁর বাড়ি থেকে পঙ্কজকে গ্রেফতার করে পুলিস। আদালতে তোলা হলে পঙ্কজকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিস। ফুলবাগান খুনের কাণ্ডে এই প্রথম কেউ গ্রেফতার হল।


পুলিসের দাবি, গত মার্চ মাসে অমিত আগরওয়ালকে রিভালভার দিতে কলকাতায় এসেছিল পঙ্কজ। দত্তাবাদের ফ্ল্যাটে পঙ্কজ আর অমিতের ৬ এমএম রিভালভারটি কেনাবেচা হয়। এরপর রিভালভারটি দত্তাবাদের ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখে বেঙ্গালুরুতে ফিরে যান অমিত। পঙ্কজকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস প্রাথমিকভাবে এই তথ্য পেয়েছে। পঙ্কজের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিস নিশ্চিত অমিত আচমকা কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরিকল্পনা করেই জোড়া খুন করেন। তারপর নিজে আত্মঘাতী হন।



গত মাসের মাঝামাঝি বেঙ্গালুরুতে নিজের ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে খুন করেন। এরপর ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় আসেন অমিত। বিমানবন্দরে ভাইয়ের হাতে ছেলেকে তুলে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি দিকে রওনা দেন। অমিতের ভাই ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তাঁর মোটিভ। এরপর দত্তাবাদের ফ্ল্যাটে গিয়ে রিভালভারটি নিয়ে সোজা চলে আসেন ফুলবাগানে শ্বশুরবাড়ি। এখানকার রামেশ্বরম আবাসনে গিয়ে শ্বশুরের সামনেই শাশুড়িকে গুলি করে খুন করেন অমিত। তারপর নিজে আত্মঘাতী হন।

আরও পড়ুন: একে একে বাতিল দুর্গাপুজোর অর্ডার, অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে আলোর শহর চন্দননগর


পুলিস জানতে পেরেছে অমিত নিজে খুন করতে চাননি। তাই সুপারি কিলারের খোঁজে তামিলনাড়ু এবং বিহার গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লকডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে সুপারি কিলার দিয়ে খুনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এদিকে অশান্তি দিনদিন বাড়তে থাকে। তাই নিজেই খুন করার পরিকল্পনা করেন অমিত। অমিতের সাতষট্টি পাতার সুইসাইড নোট থেকে জানতে পারে পুলিস। সবকিছুই ছিল কিন্তু কে কিভাবে অমিতকে পরোক্ষভাবে খুনে সাহায্য করেছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পঙ্কজ গ্রেফতার হতেই ফুলবাগান খুনের তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে চলছে পুলিস।