নিজস্ব প্রতিবেদন: অরূপ রায় বনাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তো ছিলই। এর সঙ্গে জুড়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। আসন্ন বিধানসভা ভোটে হাওড়ায় তৃণমূলের ফল কেমন হবে, তা নির্ভর করছে এই ত্রয়ীর সমীকরণের উপরে। সে কারণে মনোমালিন্য নিরসনে এবার আসরে নামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে শনিবার বৈঠকে বসেন অভিষেক ও পিকে। হাওড়ার এই তিন নেতার 'মধুর' সম্পর্ক কারও অজানা নয়। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, তিন নেতার মন কষাকষির ফায়দা তুলতে পারে বিজেপি। তার জেরে হাওড়ার মতো সম্ভাবনাময় জেলায় আশাব্যাঞ্জক ফল হবে না তৃণমূলের। প্রশান্ত কিশোরের কাছেও তেমনই রিপোর্ট গিয়েছে বলে খবর। সেজন্য তিন নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করলেন পিকে-অভিষেক। বৈঠকে তাঁদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, ভোট সামনে। সবাইকে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে এখনই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। 


ভোটের আগে দলে শুদ্ধিকরণের ইঙ্গিতও  এ দিন দেন পিকে। তাঁর বার্তা, দুর্নীতিতে জড়িতরা কোনওভাবেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


বলে রাখি, চলতি বছরের জুলাইয়ে হাওড়ার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় অরূপ রায়কে। তাঁর জায়গায় আনা হয় তরুণ লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরূপ রায়ের কোন্দলের জেরেই লক্ষ্মীকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে খবর। এমনকি অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন- মোদী-নীতীশকে ধসিয়ে দিচ্ছেন তেজস্বী, চাণক্যর সমীক্ষায় NDA-র ভয়ঙ্কর হার