জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: টেট আন্দোলনকারীকে 'পুলিসের কামড়'! আর পুলিসের সেই 'কামড়'কে সমর্থন তৃণমূল বিধায়কের। কার্যত সমর্থন স্পিকারেরও। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'গ্রেভ অ্যান্ড সার্টেন প্রোভোকেশ দিলে অনেক কিছু হতে পারে। আপনি যদি একটা লোককে প্রোভোক করেন, অত্যন্ত উত্তেজনা তৈরি করে দেন, তাহলে সেই উত্তেজনা প্রশমনে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।' অর্থাৎ পুলিসকে উত্ত্যক্ত করলে পুলিস এটা করতেই পারে! মন্তব্য স্পিকারের। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে, মেদিনীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন দমাতে পুলিসের 'কামড়'কে সমর্থন জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর ও বিধায়ক অজিত মাইতি। তিনি বলেন, কোনও অবস্থানকারী যদি নিজে পুলিসের হাতে কামড়ে দেয়, আর সেই পুলিস যদি তারপর পালটা ওই আন্দোলনকারীকে কামড়ায়, তা নিয়ে রে রে করবে! সেটা ঠিক নয়। এককথায় পুলিস ঠিক করেছে। স্বাভাবিকভাবেই অজিত মাইতির এই মন্তব্যের পরই ফের নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছে। 


অজিত মাইতির এই মন্তব্যের পরই জেলা বিজেপির সহ সভাপতি ও মুখপাত্র অরূপ দাস পালটা কটাক্ষ করেন, 'অজিত বাবু আপনি সাবধানে থাকুন। কোনওদিন দেখবেন চাকরিপ্রার্থীরা আপনার ঘরে গিয়ে পায়ে কামড়ে দিয়েছে! তখন কী করবেন? তখন আমি বলব যে, অজিত বাবু ওটা কামড় নয়। ওটা চাকরিপ্রার্থীরা ভালোবেসে আপনাকে রসগোল্লা খাইয়েছে।' একইসঙ্গে আরও তোপ দাগেন, 'তৃণমূল এখন পাগল কুকুরের মত হয়ে গিয়েছে। কুকুর যেমন পাগল হয়ে গেলে, যাকে তাকে কামড়ে দেয়। তেমনই পুলিসও ক্যাড্যারবৃত্তি করতে করতে সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আজ চাকরিপ্রার্থীদের কামড়েছে। এরপর বিরোধীরা যেখানে আন্দোলন করবে, সেখানে কামড়ে দেবে!'


প্রসঙ্গত, ক্যামাক স্ট্রিটে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন থামাতে গিয়ে এক আন্দোলনকারীর হাতে 'কামড়ে' দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। যদিও লালবাজার সূত্র দাবি করেছে যে, পুলিসকেই কামড়ানো হয়েছিল। তবে, অরুণিমার মেডিকেল টেস্টে কামড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। সাগর দত্ত মেডিকেলের সেই রিপোর্ট সামনে আসার পর, অরুণিমার সাফ কথা, 'প্রমাণ হল যে আমরা মিথ্যেবাদী নই।'


কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, 'আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার সবপক্ষেরই আছে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটা আন্দোলন। অরুণিমা আগেই পুলিসকে কামড়েছে। তারপরই হয়তো পুলিস কামড়েছে। নিশ্চিতভাবেই কামড়াকামড়ি কোনও আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। একতরফাভাবে পুলিসকে দোষী করা হচ্ছে। বাংলা তথা কলকাতা পুলিসের যথেষ্ট টলারেন্স আছে।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)