নিজস্ব প্রতিবেদন: বেপরোয়া বাইককে বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন ট্রাফিক কনস্টেবল। ঘটনার ১৩ দিন পর পুলিসের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। সিসিটিভি ফুটেজ, ট্যাটু, হাতঘড়ির সূত্র ধরে দানেশ্বর ঝাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত, ১ জুলাই। সেদিন বেকবাগান মোড়ে বেপরোয়া বাইককে আটকাতে গিয়ে জখম হন ট্রাফিক কনস্টেবল তপন ওঁরাও। বাইকের পেছনে হেলমেট হোল্ডারে আটকে যায় ট্রাফিক পুলিসের উর্দি। চলন্ত বাইক বেশকিছুটা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিসকে। তাতে গুরুতর জখন হন ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল তপনবাবু। 



নজরদারি ক্যামেরার ছবি দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিস। কিন্তু কাজটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। কারণ অন্ধকারে তোলা ফুটেজে ভাল করে চেনা যাচ্ছিল না বাইক চালককে। তবুও হাল ছাড়েননি কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। 


কীভাবে সূত্র মিলল? 


সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিতে দেখা যায়, অভিযুক্ত যুবক বহুমূল্যের কেটিএম বাইক চালায়। 


কলকাতা শহরে ১৮০০-রও বেশি কেটিএম বাইক চলে। ১৮০টি  কেটিএম বাইকের মালিক বেকবাগান অঞ্চলের বাসিন্দা  


ঘটনাস্থলের আশপাশের রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ঘটনার পর মে ফেয়ার রোডে ঢুকে যান বাইক চালক।


ফুটেজ খতিয়ে স্পষ্ট হয়ে যায়, বাইক চালকের হাতে ট্যাটু রয়েছে, সে ঘড়ি পরে ডান হাতে।


পুলিস ডেটাবেস চেক করে মিলিয়ে দেখা হয় সন্দেহভাজন ওই যুবকের মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক প্রোফাইল। স্থানীয় সূত্রেও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে পুলিস। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, 


যে কেটিএম বাইকগুলি ওই এলাকায় চলে, তার মধ্যে একজন বাইক মালিক ঘটনার পরেই কলকাতা ছেড়ে বেপাত্তা


সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি মিলিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। জানা যায় অভিযুক্তের নাম দানেশ্বর ঝা ওরফে সোনু স্টান্ট। মেলানো হয় তাঁর মোবাইল নম্বর। 


জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক বেনারস পালিয়ে গিয়েছে। বেনারসে যখন টিম পাঠানোর কথা ভাবছে পুলিস, তখন পুলিসের কাছে খবর আসে, দানেশ্বর কলকাতায় ফিরেছে। এরপরই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। বেকবাগান কাণ্ডে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর আত্মবিশ্বাসী পুলিস। বেপরোয়া বাইক রুখতে নাকা চেকিং আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি ট্রাফিক।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: দরজায় আটকাল হাত, ছুট দিল মেট্রো, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ