ওয়েব ডেস্ক: কলেজ স্কোয়্যারে মিটিং-মিছিলের ওপর কিছুটা শিথিলতা। রবিবার পুলিসের অনুমতি নিয়ে করা যাবে মিটিং-মিছিল। জানিয়ে দিলেন পুলিস কমিশনার। আগামিকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কলকাতা পুলিস।
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছে। তাই ছাত্র আন্দোলনের পীঠস্থানেই মিটিং-মিছিল বন্ধ। চলতি মাসের প্রথমেই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু হয় নতুন নিয়ম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দশকের পর দশক যে কলেজ স্কোয়্যার শহরে বাম, অ-বাম রাজনৈতিক তথা ছাত্র আন্দোলনের পীঠস্থান, সেই চত্বর মিছিল-মুক্ত হওয়ায় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিরোধীরা। পথে নামে বেশ কিছু সংগঠনও। এবার সেই নিয়মই কিছুটা শিথিল করা হল।


রবিবার কলেজ স্কোয়্যার চত্বরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তাই কোনও সংগঠন বা রাজনৈতিক দল মিটিং-মিছিল করতে পারবে। তবে নিতে হবে পুলিসের অনুমতি। জানিয়ে দিলেন পুলিস কমিশনার।


৬০-৭০-এর দশক বঙ্গ রাজনীতির বড় অধ্যায়। তার আঁতুরঘর ছিল কলেজ স্ট্রিট-কলেজ স্কোয়্যার। মস্তিষ্ক থেকে পেশির লড়াই সবেরই পীঠস্থান ছিল কলেজ স্ট্রিট। ম্যাকনামারার ভারত ভ্রমণের বিরোধিতা থেকে ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি, নকশালবাড়িতে কৃষকের ওপর পুলিসের গুলি, সবেতেই উত্তাল হয়ে উঠেছে বইপাড়া। পুলিসের গুলি, টিয়ার গ্যাস, লাঠির বাড়ি সহ্য করে রুখে দাঁড়ানোর দলিল ছড়িয়ে রয়েছে কলেজ স্কোয়্যার জুড়ে। ১৯৬৬-তে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল প্রেসিডেন্সি কলেজ। কম মিছিলের সাক্ষী নয় কলেজ স্কোয়্যার।


সপ্তাহে অন্তত একদিন সেই কলেজ স্কোয়্যারেই ফের ফিরে আসতে চলেছে মিটিং-মিছিলের শব্দ। কলকাতা পুলিসের কমিশনার ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসম্পন্ন। সেই ক্ষমতা বলেই নিয়মের শিথিলতা নিয়ে সোমবার নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কলকাতা পুলিস।


রাষ্ট্রসংঘের ডাকে নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়