নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষবরণের উৎসবে সঙ্গী মাস্ক ও স্যানিটাউজার। মাস্ক না পরলে এবার জরিমানার মুখে পড়তে হবে শহরবাসীকে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর কড়া সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিস। এমনকী, পার্কস্ট্রিট ও লাগোয়া এলাকায় মাস্কবিহীন মানুষদের চিহ্নিত করার জন্য বিশেষ কিয়ষ্ক চালু করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্ট্রেন সনাক্ত হওয়ার পর বর্ষবরণে সব ধরনের উল্লাস পরিহার করুন: Nabanna


উল্লেখ্য,  বড়দিনের পুনরাবৃত্তি হবে না তো! করোনা আবহে বর্ষবরণের রাতে শহরে ভিড় এড়াতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পার্কস্ট্রিট তো বটেই, কলকাতা ও রাজ্যের কোথাও যাতে মাত্রারিক্ত ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি চালাতে হবে। সকলকেই মাস্ক এবং স্যানিটাউজার ব্যবহার করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। এই জোড়া নির্দেশের পরই তৎপরতা বাড়ল কলকাতা পুলিসের।


লালবাজার সূত্রে খবর,বর্ষবরণের রাতে সারাক্ষণ মাইকিং করা হবে পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের তরফে এন্ট্রি পয়েন্টে বিতরণ করা হবে মাস্ক ও স্যানিটাউজার। পার্কস্ট্রিট ক্রসিং থেকে থানা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি টাওয়ার থেকে চলবে নজরদারি। এমনকী, মানুষের সংখ্যা যদি খুব বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে তৈরী করা হতে পারে ড্রপ গেটও। শুধু পার্কস্ট্রিটই নয়, শহরের সর্বত্র মোতায়েন থাকবে বাড়তি পুলিস। 


আরও পড়ুন: রাজনীতিতে যেও না, Sourav'কে পরামর্শ অশোক ভট্টাচার্যের


উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড যোগে নতুন করোনা স্ট্রেন ঢুকে পড়েছে কলকাতায়ও। জানা গিয়েছে, খোদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এক স্বাস্থ্যকর্তার ছেলের শরীরেরই মিলেছে এই ভাইরাস। গত ২০ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরেন তিনি। এয়ারপোর্টে রুটিন পরীক্ষা করোনা পজিটিভি রিপোর্ট আসে। কিন্তু কোনও উপসর্গ না থাকায় ওই যুবককে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজে আইসোলেশন বিভাগে। ওই যুবক-সহ ইংল্যান্ড ফেরত সাতজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় National Institute of Biomedical Genomics-এ।  গভীর রাতে জানা যায়, ওই যুবকের শরীরের ইংল্যান্ডের নয়া করোনা স্ট্রেনই রয়েছে।