ওয়েব ডেস্ক: বাগুইআটির হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে এখনও কোনও ব্রেকথ্রু করতে পারেনি পুলিস। উঠে আসছে একাধিক সম্ভাবনা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিবাদ থেকে একাধিক যুবকের সঙ্গে বাড়ির মেয়ের সম্পর্ক। সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পুলিস। যে কোনও খুনের তদন্তেই এই প্রশ্নগুলিকেই হাতিয়ার করে এগোন তদন্তকারীরা। আর বাগুইআটিকাণ্ডে এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতে গিয়ে তিনটি সম্ভাবনা উঠে আসছে পুলিসের সামনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্ভাবনা ১- প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা


গত বৃহস্পতিবার পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে মিত্র পরিবারের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের প্রতিবেশীর। দুপক্ষই বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ৩ জনের দেহ উদ্ধারের পর প্রতিবেশীদের ৬জনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তবে খুনের পিছনে তাঁদের যুক্ত থাকার বিষয়ে এখনও তেমন প্রমাণ মেলেনি। প্রতিবেশী এক মহিলা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, না না তেমন কিছু হয়নি।


সম্ভাবনা ২- পারিবারিক ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ


জ্ঞানেন্দ্রনাথ মিত্রের দুটো বিয়ে। প্রথম স্ত্রী মারা যান আগেই। প্রথম পক্ষের দুই ছেলে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না জ্ঞানেন্দ্রনাথের। জ্ঞানেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় স্ত্রী বিমলার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু ছোট মেয়ে সোমা বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে এই বাড়িতেই থাকতেন। জটিল পরিবার হওয়ার জন্য কোনও রকম পারিবারিক বা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


সম্ভাবনা ৩- বাড়িতে একাধিক যুবকের যাতায়াত


পুলিস জানতে পেরেছে, এই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল একাধিক যুবকের। তারা বাড়িতে আসত, মদ্যপান করত। দেহগুলি উদ্ধারের পর পুলিস উত্তর চব্বিশ পরগনা জুড়ে এই যুবকদের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে


এই তিনটে সম্ভাবনা ধরে এগোলেও কয়েকটি বিষয়ে পুলিস নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এই খুনের পিছনে কোনও একজন নয়, একাধিক আততায়ী খুন করে বাবা, মা ও মেয়েকে। আততায়ীরা ছিল খুব পরিচিত। সে কারণেই ঘরে ঢুকতে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের। দেহ প্রাথমিকভাবে দেখে পুলিস কার্যত নিশ্চিত,  খুনের সময় এই তিনজনই খুব একটা প্রতিরোধ করে উঠতে পারেনি। ঘর তছনছ বা লণ্ডভণ্ড হওয়ার মতো কোনও চিহ্নও নেই। তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে উদ্ধার হওয়া একটি সিরিঞ্জ।


আরও পড়ুন মানিকতলায় প্রোমোটারের উপর হামলায় প্রভাবশালী যোগ


পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ সাজিয়ে পুলিসের প্রশ্ন, জনবহুল এলাকায় খুন করার সময় যাতে কেউ চিত্কার করতে না পারে, তার জন্য কি তিনজনকেই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয় কোনও ঘুমের ওষুধ? অচৈতন্য করেই কি তিনজনের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়? এর জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর আপাতত তাকিয়ে তদন্তকারীরা।