নিজস্ব প্রতিবেদন: 'শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ'-র সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা নিয়ে চরম নাটকীয়তা। বৃহস্পতিবার রাতে বেলেঘাটায় শিক্ষক নেতার শ্বশুরবাড়িতে অভিযানে যায় নিউটাউন নর্থ এবং বেলেঘাটা থানার পুলিস। মইদুলকে বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করেন তাঁরা। কিন্তু রাতে পুলিসের সঙ্গে যেতে রাজি হননি মইদুল। সকালে যাওয়ার কথা জানান তিনি। দীর্ঘ কথাবার্তার পর ১টা নাগাদ এলাকা ছাড়ে পুলিস। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিশ সূত্রে খবর, বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষক আন্দলনের সময় শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মইদুলকে গ্রেফতার করতেই অভিযানে নামে পুলিস। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ বেলেঘাটার ৫১/বি/ এইচ চাউল পট্টি এলাকায় তাঁর শ্বশুড়বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। মহিদুলকে বাইরে বেরিয়ে আসতে একাধিকবার অনুরোধ করেন পুলিস কর্মীরা। কিন্তু ওই শিক্ষক নেতা পুলিশ আধিকারিকদের জানান, তিনি সকালে পুলিসের সঙ্গে যেতে রাজি। প্রায় রাত ১টা নাগাদ এলকা ছাড়েন পুলিস কর্মীরা। মইদুলের অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকরা কোনও আইনি নথি দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে, তাও নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। 


আরও পড়ুন: Kolkata: নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত বস্তির ২০টিরও বেশি বাড়ি, ঘটনাস্থলে দমকল


আরও পড়ুন: Kolkata: রাতের শহরে শুটআউট, সিন্ডিকেট বিবাদে গুলিবিদ্ধ ১, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ


পুলিসের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন মইদুল ইসলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষক নেতা লেখেন, "চোয়াল শক্ত করে লড়ে যাচ্ছি৷ আমরা শিক্ষক কোনও অন্যায় করিনি৷ রাত ১১টা থেকে ২০০-র বেশি পুলিস আমার বেলেঘাটার শ্বশুরবাড়ি ঘিরে রেখেছে৷ ২ ঘন্টা ধরে পুলিস আর আপনাদের ভাই-এর লড়াই চলছে৷ প্রশাসন শিক্ষক আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে৷ বদলি করেও প্রশাসন ভয় পাচ্ছে ৷ দাবি আদায়ের কাছাকাছি আমরা৷ আপনারা নিজের মতো করে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ করবেন৷ আমাকে গ্রেফতার করলে যতটা সম্ভব কোর্টের সামনে জমায়েত করবেন৷ সেদিন তীব্র আন্দোলন যেন সবর্ত্র হয়৷ এ লড়াই আমরা জিতব৷ রুটি রোজগারের লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না৷ কেউকে কিছূ করতে পারবে না৷ প্রত্যেকে সোস্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলবেন৷ পুতুলদির দেখানো লড়াই আমাদের শিক্ষা দিয়েছে আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করবই৷ কখনও কোনও স্বৈরাচারী সরকার জিতবে পারে না, সাময়িক ভয় দেখায় মাত্র৷ পুলিশ এখনও বাড়ির চারপাশে দূর্গের মতো অবস্থান করছে৷ আমরা কোনও অন্যায় করিনি৷ আজ প্রতিবাদ না করলে, আর কবে প্রতিবাদ করবেন৷ আমাদের দিদিরা যেভাবে লড়াই করেছে আমরা তা থেকে শিক্ষা নিয়েছি৷ দরজার সামনে থেকে পুলিশ সরে গেছে ঠিক। কিন্তু চারপাশে আছে৷ যে পুলিশ টেবিলের তলাতে মাথা লুকিয়ে থাকে, তাঁরা আজ অতি সক্রিয়৷ আমি বিশ্বাস করি রাজ্যের সমস্ত গণতন্ত্র প্রিয় সুধী নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মী, নেতৃত্ব এবং গণসংগঠন ও শিক্ষক সংগঠন একযোগে প্রতিবাদ করবে৷ লড়াই আরও তীব্র হবে৷ শাসকের রক্তচক্ষু আমাদের মেরুদন্ডকে যেন না বাঁকাতে পারে৷ আমাদের অপবাদ কী গণতান্ত্রিকভাবে পেশাগত আন্দোলন করা৷ সরকার কতটা অমানবিক আর প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে তা আজ নগ্ন হয়েছে৷"