ওয়েব ডেস্ক: দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে আবেশের। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই অনুমান পুলিসের। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম বিশাল গর্গ জানিয়েছেন, আবেশের মৃত্যুর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নেই। এটা পূর্ব পরিকল্পিত কোনও ঘটনা নয়। তবে, তদন্ত জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিস। আবেশের মৃত্যু খুন নয়,দুর্ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তের পর অনেকটাই নিশ্চিত পুলিস।কেন দুর্ঘটনা? পার্কিং লটের ভেতরে ছিল আবেশ। সেখানেই সে মদ্যপান করছিল। সিসিটিভি ফুটেজের ৬ টা ১মিনিটে আবেশ পার্কিং লটের বেসমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে। হাতে  ছিল বোতল। সেই সময় পার্কিং লট থেকে লনে যাওয়ার পথে দেড় থেকে দুফুটের  পাঁচিল টপকাতে যায় আবেশ। পার্কের অন্য প্রান্তে দোলনায় বসেছিল তার এক বন্ধু ও বান্ধবী।  বন্ধু ও বান্ধবীর কাছেই পাঁচিল টপকে আসতে গিয়েছিল আবেশ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পাঁচিল পেরোনোর চেষ্টা করছে আবেশ। অবশ্য তারপরের কুড়ি সেকেন্ড আবেশকে আর দেখা যায়নি ফুটেজে। এরপর দেখা যাচ্ছে আবেশ উঠে দাঁড়িয়ে কয়েক পা হাঁটার চেষ্টা করে পড়ে যাচ্ছে। তখনই কয়েকজন বন্ধু তার কাছে আসে।  পুলিসের দাবি, পাঁচিলে ঢাকা পড়ে যাওয়ায় ওই অংশের ফুটেজে ধরা পড়েনি আবেশের হাঁটাচলা। সিসিটিভির ফুটেজে কুড়ি সেকেন্ডের এই ধরা না পড়া ছবি, সেই সময়টুকুতে কী ঘটেছিল তা ধরা পড়েছে তার বন্ধুদের বয়ানে। পাঁচিল টপকাতে গিয়ে পড়ে যায় আবেশ। তারপরে সে উঠে দাঁড়ায়।  প্রথমে বুঝতে পারেনি আঘাত গুরুতর। কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায়  পড়ে যায় সে। সেইসময় বন্ধুরা ছুটে আসে। এক বন্ধু জামা খুলে ক্ষতস্থান বেঁধে দেয়। অন্য এক বান্ধবী  শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার চেষ্টা করে। অন্য দুজন অমিত চৌধুরীকে ঘটনাটা জানায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘড়ির কাঁটায় ঘটনাক্রম - ৬টা৫মিনিট, হান্ড্রেড ডায়াল করে কোনও এক বন্ধু। কয়েকজন বন্ধু ওলা-উবের বুক করার চেষ্টা করে, অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করা হয়, নিরাপত্তা রক্ষীকে হলুদ ট্যাক্সি ডাকতে বলা হয়, হলুদ ট্যাক্সি এসেও ফিরে যায় ভয় পেয়ে, আমরি কর্তৃপক্ষের দাবি, ৬টা ২৪ মিনিট তাদের কাছে ফোন আসে। ৬টা৩২ ঘটনাস্থলে পৌছয় অ্যাম্বুলেন্স
কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরে আসে অ্যাম্বুলেন্স।


বন্ধুদের  বয়ান -
৬.২৫ মিনিটে একটি গাড়িতে আবেশকে নিয়ে তারা রওনা হয়. আমরির উদ্দেশ্যে ।
৬.৩৭ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌছয়
পেছনের একটি গাড়িতে ছিলেন অমিত চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে।  
৬.৫০ মিনিটে হাসপাতালে আবেশকে মৃত ঘোষণা করা হয়


আরও পড়ুন ৫৮ বছর বয়সে জন্ম দিলেন মেয়ের!


পুলিসের দাবি, যে ব্যবসায়ী পুত্রকে আবেশের পরিবার সন্দেহ করছে, সেই বন্ধু ও তার আর এক বন্ধু আবেশকে গাড়িতে তোলা পর্যন্ত  ঘটনাস্থলে ছিল। হাসপাতালে রওনা হওয়ার পর সেই তার  মা অসুস্থ বলে আরেক বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। তাকে জেরা করে জানা গেছে কিছুটা পথ হাসপাতালের দিকে গিয়েও সে গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ি চলে যায়। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণেই সে ফিরে যায়। এই সমস্ত পারিপার্শিক তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই পুলিসের দাবি, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে আবেশের। যদিও পুলিসের ইঙ্গিত, এখনও ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট ও  ভিসেরা রিপোর্ট তাদের হাতে আসেনি। সেগুলি পেলেই  এবিষয়ে  চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন  এভাবেই নাকি মৃত্যু হয়েছে আবেশের!