দেবারতি ঘোষ ও নান্টু হাজরা: কলকাতায় ফের বিপুল টাকা উদ্ধার। নিউটাউনে বেশ কয়েকটি ভুয়ো কল সেন্টারে তল্লাশির সময় উদ্ধার হল ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ওই ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারা পাবেন টিকিট, পর্যালোচনা শুরু তৃণমূলে


পুলিস তরফে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ৪টি গাড়ি আটক করা হয়েছিল। ওইসব গাড়িতে থাকা লোকজনকে জেরা করে বেশকিছু লিঙ্ক বের হয়ে আসে। সেইসব লিঙ্ক থেকে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় পুলিস। অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে তারা ৮-১০টি কল সেন্টার চালাত। ওইসব কল সেন্টার থেকে প্রায় চারশো কমপিউটার উদ্ধার হয়েছে। কলসেন্টারে বসে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা নেওয়া হতো। বিভিন্ন কল সেন্টারে হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আশা করছি এরকম আরও কয়েকটি ভুয়ো কলসেন্টার বন্ধ করতে পারব।


বেশকিছুদিন ধরে নিউটাউনের একটি এটিএম-এ ৪ জনকে ঢুকতে ও বের হতে দেখা যেত। তাদের পুলিস আটক করে। ওই চার জনের মধ্যে ২ জন দিল্লি ও ২ জন গুজরাটের বাসিন্দা। এরা হল মফিজ মিনিয়ার, ইয়াসের খান, মণীশ যাদব ও কমল শর্মা। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লিলুয়ার বাসিন্দা সৌরব সোনি ও সৌরভ সোনির নামে ২ যুবকের সন্ধান পায় পুলিস। গতকাল তাদের গ্রেফতার করে পুলিস। ওইদিনই তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান। ওই দুজনকে হেফাজতে পেলে তদন্তের আরও অগ্রগতি হতো বলে বলছে পুলিস। বিধাননগর পুলিসের দাবি, ইতিমধ্যেই মোট ৬০টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ওইসব ফ্ল্যাটে রেড করে প্রায় চার কোটি টাকা, ১০টি দামী ঘড়ি, ২টি গাড়ি, টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।


পুলিসের তরফ বলা হচ্ছে ধৃত ২ জন ব্যাগে টাকা নিয়ে বারবার নিউটাউনের একটি এটিএমে ঢুকছিল ও বের হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে জেরা করা হয়। তখন তারা বলে, হাসপাতালে তাদের একজন ভর্তি রয়েছেন। তার জন্য টাকা পাঠাতে চান। কেন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে জানতে চাইলে তারা একটি ভুল অ্য়াকাউন্ট নম্বর বলে। তখনই পুলিসের সন্দেহ হয়। তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি এটিএম-এ নিয়ে যায়। দেখা যায় তারা টাকা জমা করতে চাইছে না। তখন তাদের নিয়ে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় যায় পুলিস। জেরা করে তাদের কথায় অসংগতি ধরা পড়ে। বেরিয়ে আসে আরও ২ জনের নাম। সেইদিনই পুলিস ৪ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করে। লিলুয়াতেও পৌঁছায় পুলিস। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার হয়। সেই মোবাইলের চ্যাট থেকে সূত্র পেয়েছে ৬০টি জায়গায় হানা দেয় পুলিস। উদ্ধার হয় বিপুল টাকা। তবে পুলিস মনে করছে ধৃতরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা তুলত। বিদেশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)