কলকাতা: ঘটনার পাঁচদিন পর আলিপুর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের ধরতে সক্রিয় হল পুলিস।  এতদিন পর্যন্ত তদন্তে যে খামতি ছিল তা মেনে নিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা । ঘটনার তদন্তকারী অফিসারকে বদল করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আলিপুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি সরোজ প্রহরাজকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলিপুর কাণ্ডেও প্রশাসনের অস্বস্তি চাপা নেই। প্রকৃত দোষীদের বদলে যে পাঁচজনকে পুলিস গ্রেফতার করেছিল, তাদের জামিন দিয়েছে আদালত। ঘটনার পাঁচদিন পর  অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে লালবাজারের কর্তারা। তদন্তকারী অফিসার কৌশিক রায়কে বদলে  দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আলিপুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি সরোজ প্রহরাজকে। অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার বুদ্ধদেব মুখার্জির তদারকিতে  চলবে তদন্ত।


১৪ নভেম্বর আলিপুর থানায়  ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে ফিরহাদ হাকিম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহার বিরুদ্ধে। তারপর তদন্তে নেমে পুলিস গ্রেফতার করে পাঁচজনকে। কিন্তু তাদের সঙ্গে ঘটনার যোগ ছিল না তাও স্পষ্ট হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।  শুরু থেকেই ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ওসি। একথাও মেনে নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিসের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে। সেদিনের ঘটনার গতিপ্রকৃতি ওসি তাঁর সিনিয়র অফিসারদের স্পষ্টভাবে জানাননি। এমনকী ডেপুটি কমিশনার মুরলীধর ঘটনাস্থলে পৌছনোর পরেও বেশকিছু তথ্য গোপণ করে যান ওসি। তাঁর ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই হাতের বাইরে চলে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে ওসি ব্যর্থ হন। ঘটনার পাঁচদিন পর অবশেষে পুলিস চিহ্নিত করতে পেরেছে মূল অভিযুক্তদের একজনকে। তাণ্ডবের ফুটেজে  পেশায় ড্রাইভার যোগেশ বড়ালকে দেখা গেছে ঘুঁষি মেরে থানার কাঁচ ভাঙতে।  তাঁর বাড়ি কুলপিতে। যে মহিলা আইনজীবীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা সেদিন থানায় তাণ্ডব চালায় তাকেও সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ওই মহিলা চেতলা অঞ্চলেরই বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিস। কলকাতা পুলিসের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে ওসির ব্যর্থতার কথা মেনে নেওয়া হলেও কেন  তাঁর বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়া হল না? উঠছে প্রশ্ন।