ওয়েব ডেস্ক : আগামিকাল থেকেই বিদ্যাসাগর সেতুতে পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  আর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বন্দরের পণ্য পরিবহণে।  এতে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আদালতে যাচ্ছে ট্রাক মালিক সংগঠনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এয়ারপোর্টের পর বন্দর
এয়ারপোর্টের পর এবার কলকাতা বন্দর এলাকায় পণ্যবাহী যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি হল।  দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে পণ্যবাহী যান চলাচলে রাশ টানল পুলিস। সকাল ৮টা  থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাঝারি ও হাল্কা পণ্যবাহী যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। হাল্কা ও মাঝারি পণ্যবাহী যানের ক্ষেত্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং সন্ধে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের এই সিদ্ধান্তের  সরাসরি প্রভাব পড়বে বন্দরের পণ্য পরিবহণে। কারণ বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে যে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি গুলি যায় তার অধিকাংশই বন্দরের।  নতুন ব্যবস্থায় সমস্যা বাড়বে বলে মত ব্যবসায়ীদের।

রাতে এক সঙ্গে বহু গাড়ি চলে এলে বন্দর এলাকায় যানজট বাড়বে। রাতে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা আছে। আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় রক্ষা করার মতো বিষয় রয়েছে। পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণে সে ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। বড়সর আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে বন্দরে পার্কিং লট তৈরি করা হবে। অতএব সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক রাজ্য। এই মর্মে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন পণ্য পরিবহণ সংস্থাগুলি। সমস্যা সমাধানের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ ট্রাক মালিকদের সংগঠনও।